নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতালগুলোতে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। এতে সাধারণ রোগীদের বাইরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা করাতে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে। এ ছাড়া দালালদের কারণে রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। হাসপাতালের কর্মকর্তা, স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিক ও রোগনির্ণয়কেন্দ্রের (ডায়াগনস্টিক সেন্টার) মালিকেরা এই দালাল চক্র গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নারায়ণগঞ্জ খানপুর ও ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগী ও তার স্বজনরা প্রতিনিয়ত পড়ছেন দালালের খপ্পরে।কিছুতেই থেমে নেই তাদের দৌরাত্ম্য। রোগী ভর্তি থেকে শুরু করে ওষুধ কিনতে এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতেও দালালের ফাঁদে পড়ছেন রোগীর স্বজনরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকেই টার্গেট করা হয় রোগীদের। এরপর ওয়ার্ড পর্যন্ত পিছু নেয় এসব দালাল। ন্যায্যমূল্যে ওষুধ কিনে দেওয়ার কথা বলে তাদেরকে (রোগীর স্বজনকে) নিয়ে যাওয়া হয় নির্দিষ্ট ফার্মেসিতে। যেখানে আদায় করা হয় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি দাম। দালালের একটি চক্র কাজ করেন ওষুধ বিক্রিতে। হাস্পাতালের গেটে অবস্থিত ফার্মেসির হয়ে কাজ করেন তারা। হাসপাতালের ওয়ার্ডের রেড জোনের ভেতরেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে রোগীর স্বজনের কাছ থেকে নির্ধারিত ফি’র চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।
রোগীদের অভিযোগ, দালালরা জানায় হাসপাতালের টেস্ট রিপোর্ট ভালো হয় না। এজন্য তারা আশেপাশের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে টানাটানি করে। এসব বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রোগীর সঙ্গে থাকা লোকজন যদি সতর্ক হয়, তাহলে দালালদের খপ্পর থেকে কিছুটা রেহাই পাবেন তারা।
এমনকি হাসপাতালের রোগী এবং স্টাফদের দাবী খানপুর এবং ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে একটি মহিলা পকেটমার চক্রের সদস্যদের ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায় যারা নাকি রোগীদের স্বজনদের নিকট হতে মোবাইল এবং অপারেশনের টাকা পয়সা চুরি করে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে আসা রোগী এবং স্বজনদের দাবী পুলিশ প্রশাসন,র্যাব এবং ডিবি যাতে অতিদ্রুত এইসকল দালাল এবং মহিলা পকেটমার চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসেন।