নারায়ণগঞ্জ ২নং রেল গেইট এলাকায় গড়ে উঠেছে মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট। আর বিত্তশালী পরিবারের সন্তানদের নিরাপদ মাদক সেবনের স্থান ২নং রেল গেইট।
সূত্রমতে, রেল লাইনের আশপাশে মাদক ব্যবসা হচ্ছে প্রকাশ্যে। মাদক বিক্রেতারা নিম্নশ্রেণির হলেও তাদের আশ্রয়দাতার তালিকায় রয়েছে মাদকের গডফাদারদের নাম। মাঝেমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে খুচরা মাদক বিক্রেতারা গ্রেফতার হলেও অন্তরালে থাকা গডফাদাররাই তাদের জামিনের ব্যবস্থা করে।
মাদকের স্পট নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে একাধিক গ্রুপ বিভিন্ন সময়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। অনেক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু মাদক কখনো বন্ধ হয়নি। সেখানে মাদক কেনাবেচা হচ্ছে প্রকাশ্যে।
২নং রেল গেইট থেকে শুরু করে নন্দিপাড়া,উকিলপাড়া,গলাচিপার অধিকাংশ ঘরে ও পান-সিগারেটের দোকানে প্রকাশ্যেই মাদক বিক্রি হচ্ছে। গন্ধে এলাকায় বিচরণ করা যায় না।
মাদক মামলার আসামী বিউটি বয়সের ভারে নুয্য হলেও মাদক ব্যবসায় নাই তার কোন ক্লান্তি। সন্ধ্যা অবধি গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদক হাটের বেচাঁ-কেনা। একাধিক সুন্দরী মেয়ে ব্যবহার করে অভিনব কৌশল অবলম্বন করে চালিয়ে যাচ্ছেন রমরমা ব্যবসা। সরেজমিনে তদন্তে দেখা যাচ্ছে সুন্দরী মেয়েরা রেললাইনের উপর ফিশ প্লেটে বসে হিরোইন, গাজা, বিক্রয় করছে। সদর থানা এবং টানবাজার ফাড়ির পুলিশ তাদের সামনেই হেটে যাচ্ছেন।
মনে হয় সরকার অনুমোদিত কোন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। পুলিশ-মাদক ব্যবসায়ী খেলা। বিউটির দলে রয়েছে ডজন খানেক নারী মাদক ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যে অন্যতম ১) মোরনী, স্বামী- সোহেল, মাতা- পাখি, ২) টুকু, স্বামী- ফারুক, ৩) সাবিনা, মাতা- পাখি, ৪) তাহমিনা, পিতা- কালাম, মাতা- তাসলী, ৫) দুলালী, পিতা- দুলাল মিয়া, মাতা- তাসলী, ৬) বিল্লাল, পিতা- দুলাল, মাতা- তাসলী, ৭) রুবেল, পিতা- ফকির চাঁন, মাতা- শাহনাজ, ৮) মাহমুদা, স্বামী- রুবেল, ৯) সৌরভ,১০)কামাল (প্যাথারিন)১১)দিপু।