সকাল নারায়ণগঞ্জ
৭৫ এর পর আমাদের যে জেনারেশন রাজনীতি এসেছে তারা কখনও এই চিন্তা করে আসি নাই যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। দীপু, চন্দন, খোকন, বাদল, শামীম এ নামগুলোর মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। নামগুলো আলাদা কিন্তু আত্মার ভিতরে কোন পার্থক্য নাই ও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকবেও না। কিছু জায়গায় কিছু শূণ্যস্থান হতেই পারে। আমরা একটি বড় দল। একটি পরিবারে তিন ভাই থাকলে তাদের তিনজনের তিন মত থাকতেই পারে।যোগ্যতার দিক দিয়ে দিপুর সাথে কারো তুলনা করা যাবে না। যদি তুলনা করতে হয় আমার সাথে করতে হবে। খোকন সাহার সাথে তুলনা করতে হলেও আমার সাথে করতে হবে। কারণ আমরা একটা টিম। আমরা এক সাথে শুরু করেছি। আমাদের উপর দিয়ে আওয়ামীলীগে দেখানো ঠিক না। কিন্তু জুনিয়রদের কাছে এটা শিক্ষণীয়। এটাকেই বলে ত্যাগ। যদি কেউ মনে করে- আমার সাথে আলাদাভাবে কথা বলে, খোকনের সাথে আলাদা করে কথা বলে ভাগ হবে, সেটা হবে না।
রবিবার(১৯ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্মাণাধীন বার ভবনের সামনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান একথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজনীতি একটা কৌশল, এই কৌশলে অনেক সময় অনেক ধরণের কৌশল করতে হয়। তেমনি করে নির্বাচন একটা কৌশল, দলও একটা কৌশল। অনেক সময় যোগ্য লোক থাকতেও কৌশলের কারণে অনেক অযৌগ্য লোককে নির্বাচনে দিতে হয়। ঢাকার থেকেও আমাকে ফোন করেছিলো। আমরা চাইলে কিছু পরিবর্তন করতে পারতাম। কিন্তু সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেটা করতে চাইলে হয়তো আমাদের বিপক্ষ শিবির সেই সুযোগ নিতেও পারে। দিপুর সাথে আমার অনেকবার কথা হয়েছে। সে আমাকে যেভাবে গাইড দিয়েছে, বলেছে, শামীম ভাই আপনি জলদি আসেন। আমি সেভাবেই করেছি।
সাংসদ বলেন, আমরা একটি পরিবার।আমাদের এই পরিবারকে এক থাকতে হবে একটা স্বার্থে। নিজের ব্যক্তি স্বার্থে নয়। নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বার্থে। এই পরিবারের মধ্যে অনেকেই অনেক ভাবে টাকা পয়সা, বন্দুকের নল দেখিয়ে ভাঙনের চেষ্টা করেছে। হয়তো এই পরিবারের মধ্যে একটা আঁচর পড়েছে। কিন্তু কেউ ভাঙতে পারে নাই। আগামীতেও এই পরিবার কেউ ভাঙতে পারবে না। এই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় নিয়েই প্রমাণ করবো আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।
এইসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন, সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এড. সামসুল আলম ভূইয়া, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এহসানুল হক নিপু, সাফায়েত আলম সানিসহ আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা।