সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জে ধারের ৫ হাজার টাকা নিয়ে মোঃ রহিম (৩০) নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক আসিফসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) রাতে ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। এদিন রাতে ঘাতক আসিফের মা রাজিয়া বেগম ও খালা সসুলতানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন শনিবার ভোরে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানার পাঁচগাও এলাকা থেকে হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ঘাতক আসিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে নিহত রহিমের মা রহিমা বেগম শুক্রবার রাতেই ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। আসিফ, নষ্ট ফারুক সহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনের নামে মামলাটি দায়ের করা হয়।
নিহত মোঃ রহিম মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার ইলিয়াস সর্দারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ইমান আলীর ছেলে। সে ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রীর কাজ করতো বলে জানা যায়।
নিহতের পরিবার জানায়, রহিমকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে আসিফ। সে একই এলাকার মৃত আমির খসরু মিয়ার ছোট ছেলে। নিহত রহিম ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রীর কাজ করতো বলে জানায় তার পরিবার। এছাড়া সে মাঝে মাঝেই আসিফের ফোন-ফ্যাক্সের দোকানে গান শুনতে আসতো বলেও জানায় তারা।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনার পর মাসদাইর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন হত্যাকারী আসিফ’র মা রাজিয়া বেগম ও খালাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে ঘাতক আসিফকে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানার পাঁচগাও এলাকা থেকে গ্রেফতারে করা হয়েছে।
ওসি আসলাম আরো জানান, হত্যার পরপরই আসিফের মা রক্ত মাখা ছুড়ি ধুয়ে তাকে সাহায্য করে এবং খালা সুলতানা তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। অন্যান্য আসামীদেে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এর আগে শুক্রবার নিহতের পরিবারের সাথে দেখা করেন ওসি আসলাম হোসেন। এসময় তিনি নিহতের পরিবারকে আস্বস্ত করে বলেন, যেহেতু হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে, হত্যাতান্ডের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। সুষ্ঠুভাবে তদন্ত হবে, শীঘ্রই প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে, কোন সন্দেহ নেই।
আটক হওয়ার পর আসিফ’র মা রাজিয়া বেগম জানান, নিহত রহিম ও তার ছেলর আসিফ একসাথেই নেশা করতো। রহিম আসিফের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা ধার নিয়েছিলো বলে তিনি জানান। এ টাকার জন্য হত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে বলে জানান রাজিয়া বেগম। তবে তিনি বলেন, আমি হত্যার বিষয়ে কিছুই জানি না। মানুষের চিৎকার শুনে এসে দেখি রহিম পড়ে আছে।