সকাল নারায়ণগঞ্জ
ফতুল্লার মধ্যযুগীয় কায়দায় দুই যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় ঢাকার ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, এসআই সালেকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য ছাগল চুরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুআওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন হাওলাদারের অফিসে দুই যুবককে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। এতে একটি ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়৷ ভিডিওতে দেখা যায়, আলাউদ্দিন মেম্বারের উপস্থিতিতে হাত-পা বেঁধে দুই যুবককে কয়েকজন বেধরক পেটাচ্ছে। এ সময় নিজেদেরকে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে কাকুতি-মিনতি জানাচ্ছে যুবকদ্বয়। আশপাশে থাকা লোকজন দাঁড়িয়ে ঘটনাটি উপভোগ করলেও কেউ তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি।
পরে নাইম ও রাতুল নামে দুই যুবককে ধরে একটি ছাগল দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়৷
এই ঘটনায় নাঈমের মা নাজমা বেগম বলেন, আমার পোলায় প্রিন্টিং কারখানায় কাম করে। ৩১ ডিসেম্বর রাতুলের লগে পোলারেও ধইরা লইয়া যায়। মারতে মারতে লইয়া গেছে। পরে আবার আলাউদ্দিন হাওলাদার তার অফিসে লইয়া গিয়া ইচ্ছামত মারছে। কুত্তারেও মাইনষে অমনে পেডায় না। আমার পোলায় অন্যায় করলে আমগো জানাইতো, পুলিশরে দিতো, হেয় অমন কইরা মারলো ক্যান। আমি এর বিচার চাই।
গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ১০ জানুয়ারি বিকেলে নির্যাতনের শিকার নাঈমের মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন হাওলাদারকে প্রধান আসামি করে আরও ৪জনের নামোল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করেন। মামলার পরদিন ১১ জানুয়ারি কুতুবপুরের শাহী মহল্লা মুসলিমপাড়া এলাকা থেকে আব্দুল কাদেরের ছেলে রবিন ও একই এলাকার শফিকুর রহমানের ছেলে ইউনুছকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু প্রধান আসামি আলাউদ্দিন হাওলাদার মামলা হলে পালিয়ে যান।