নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসদাইরে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পেরে সৌখিন (৩০) নামক এক চা দোকানী স্ত্রীর ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ঘরের আড়ায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ ওঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর ফারিয়া গার্মেন্টস সংলগ্ন রামু মিয়ার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রওশনা খাতুন (২৮) বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদী বিসিকস্থ এমএস গার্মেন্টেসে চাকরিরত এবং তার স্বামী নিহত সৌখিন চায়ের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তারা মাসদাইর ফারিয়া গার্মেন্টস সংলগ্ন রামু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
রমজান(১০) ও রাব্বি (৭) নামক দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে তাদের। তারা উভয়েই মাদ্রাসায় থেকে পড়ালেখা করে। গত দু মাস আগে বাদীর স্বামী সৌখিন তাকে জানান, তিনি কিস্তিতে বেশ কিছু টাকা নিয়েছেন। সেই কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাদী স্বামীকে বলেন, তারা দুজনে মিলেই কিস্তির টাকা পরিশোধ করে দেবে। তবুও কিস্তির টাকা পরিশোধ নিয়ে হতাশায় ভুগছিলো সৌখিন।
প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে আটটার দিকে নিজ কর্মস্থলে চলে যায় বাদী। যাওয়ার আগে স্বামীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে দিয়ে যায় দোকানে যাওয়ার জন্য। দুপুর বারোটার দিকে বাড়ির মালিক রামু মিয়া বাড়িভাড়ার টাকার জন্য লোক পাঠায়। তখন বাসায় এসে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে রামুকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে রামু নিজে এসে ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখতে পান নিহতের ঝুলন্ত লাশ। দুপুর আড়াইটার দিকে বাদীর কর্মস্থলে গিয়ে জানানো হয় এ সংবাদ।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন মোল্লা আত্মহত্যকারীর পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, কিস্তির টাকা নিয়ে হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।