সকাল নারায়ণগঞ্জ
আমি একটি কথা বারবার বলি, সেটা হচ্ছে মানুষের জীবনে চলতে গেলে অনেক কিছু লাগে। অনেকে অনেক কিছু পায় না। অসুখ হলে চিকিৎসা করতে পারে না, শীতবস্ত্র পায় না, ঘরে খাবার থাকে না কিন্তু আমার যেটা কথা আমি আগেও বলেছি এখনো বলবো, কাউকে কিছু দিতে হলে কিংবা কাউকে কিছু করতে হলে এবং দেশের জন্যে দশের জন্যে করতে হলে কোনো পদ পদবি লাগে না। কোনো কিছু হতেও হয় না।
বৃহস্পতিবার(১৬ জানুয়ারি) সন্ধায় প্রতিবন্ধী প্রগতি সংস্থার আয়োজনে এবং নাসিম ওসমান ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত শীতবস্ত্র বিতরণ ও জিয়ার চাউল বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রয়াত সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের সহধর্মীণী পারভিন ওসমান একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি একথাটা এজন্য বললাম, অনেকে আছে যাদের দেয়ার ক্ষমতা আছে গরীবদের পাশে দাড়ানোর ক্ষমতা আছে আমি মনে করি তাদের উচিত গরীবদের পাশে এগিয়ে আসা। তাহলে আমাদের দেশে গরীবদের অভাব অনেকটা পূরণ হবে। আমি জানিনা আপনাদের কতটুকু উপকারে আসতে পারছি। যদি কোনো কিছু প্রয়োজন হয় আমাকে বলবেন, আমি আপনাদের পাশে দাড়াবো।
প্রয়াত সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান স্মরণে তিনি বলেন, তিনি সারাজীবন কাটিয়ে গেছেন দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ভালোবেসে। তিনি তার প্রতিটি সময় নারায়ণগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জবাসীর উন্নতির কথা চিন্তা করতেন। আপনারা সংসদ সদস্য বানান ভোট দিয়ে, আপনারা অবশ্যই চাইবেন সেই সাংসদ আপনাদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকবে এটাই তো নিয়ম আর সেটাই ছিলেন তিনি। আর চার মাস পর ছয় বছর পূর্ণ হবে উনি নেই। আমি আপনাদের কাছে চির ঋণী আছি এবং থাকবো। অনেক অনেক ভালোবাসা আমার স্বামী পেয়েছে এবং এখনো পাচ্ছে।
বক্তব্য শেষে তিনি দুঃস্থদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত শীতবস্ত্র বিতরণ ও জিয়ার চাউল বিতরণ করেন।এইসময় নাসিম ওসমান স্মৃতি দুঃস্থ কল্যান ফাউন্ডেশনের সভাপতি তরিকুল ইসলাম লিমন’র সঞ্চালনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং প্রতিবন্ধী প্রগতি সংস্থার মহাসচিব মোঃ ইউসুফ আলী হাওলাদার’র সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, প্রয়াত সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমান’র সহধর্মীণী সাবরিনা ওসমান জয়া,বীরমুক্তিযুদ্ধা জয়নাল আবেদীন টুলু, নারায়ণগঞ্জ জেলা দোকান প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়ন এর সভাপতি মোজাম্মেল,নারায়ণগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এর সভাপতি মো. তাহের প্রমুখ।