সকাল নারায়নগঞ্জ
বন্দরের আলোচিত মিশুক চালক কায়েস হত্যার মূল পরিকল্পনাকারি আল আমিন ওরফে লিমন ওরফে রিমন হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দী প্রদান করেছে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামী লিমন বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে এ জবানবন্দী প্রদান করে।
এর আগে একই দিন সকাল সাড়ে ৮টায় গ্রেপ্তারকৃত আসামী লিমনের দেখানো মতে বন্দর থানা পুলিশ বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরর্পদী এলাকার জনৈক নূর মোস্তফা মিয়ার জমি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহারকৃত ধারালো দা উদ্ধার করে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর সকালের পূর্বে যে কোন সময়ে বন্দর উপজেলার নরর্পদী এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃত আল আমিন ওরফে লিমন ওরফে রিমন বন্দর ইউনিয়নের তিনগাও ভদ্রসন এলাকার নাসির উদ্দিন ওরফে বিটল মিয়ার ছেলে। যার মামলা নং ৩(১০)২২।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ১ অক্টোবর বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরর্পদি এলাকা থেকে হাত পা ও মুখ বাধা জবাইকৃত লাশ উদ্ধার করে বন্দর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত মিশুক চালকের মা শারমিন বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ বন্দর উপজেলার পদুঘর এলাকায় অভিযান চালিয়ে একই এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে হত্যা মামলার ১নং এজাহারভ’ক্ত আসামী কামরুজ্জামান শিমুল ও একই এলাকার মোক্তার হোসেন মিয়ার ছেলে কাউছার ও দক্ষিন কুল চরিত্র এলাকার রাজা গাজী মিয়ার ছেলে ফাহিম ওরফে জিকুকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় র্যাব সোমবার (৩ অক্টোবর) ভোর রাতে ফতুল্লা থানার তল্লা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মিশুক চালক কায়েস হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারি আল আমিন ওরফে লিমন ওরফে রিমন (২০)কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পরে র্যাব গ্রেপ্তারকৃতকে ওই দিন দুপুরে বন্দর থানায় সোর্পদ করলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মেহেদী হাসান গ্রেপ্তারকৃত আসামী লিমনকে নিবির ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার তথ্য ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় লাশ উদ্ধারের ঘটনাস্থলের সামনে থেকে হত্যাকান্ডের ব্যবহারকৃত দা উদ্ধার করা হয়।