নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মোবাইল চুরির অপবাদে মোঃ রাসেল মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরকে দিনভর আটকে রেখে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সোহাগ ও রফিক নামে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী পুরান আইলপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
দিনভর নির্যাতনের পর রাসেলকে তার স্বজনরা বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তারা সন্ধ্যায় পুলিশের বিশেষ সেবা “৯৯৯” এ ফোন করে ঘটনাটি জানান।
খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে রাত ৯টার দিকে হাসপাতালে যান। সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
নিহত রাসেল মিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী পুরান আইল পাড়া এলাকার মোঃ নাসিরের ছেলে। অভিযুক্ত সোহাগ ও রফিক একই এলাকার কাদের ও মৃত আলী আকবর মাদবরের ছেলে। তাদের বয়স ৩০ থেকে ৩২ হবে।
জানা গেছে, নিহত রাসেল মিয়া পাইপ ফিটারের কাজ করত। সে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাড়ি ফেরেনি। ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে রাসেলকে মোবাইল চুরির অভিযোগে সোহাগ ও রফিক মারধর করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে পাঠানটুলি ঈদগাহ সংলগ্ন স্থানে রাসেল এর ছোট ভাই রাকিব তার ভাইকে দেখে দৌড়ে কাছে গেলে রাসেল বমি করা অবস্থায় মাটিতে শুয়ে পড়ে। এবং বলে তাকে সোহাগ ও রফিক প্রচুর মারধর করেছে। রাকিব দ্রুত পরিবারের লোকজন নিয়ে রাসেলকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তারা সন্ধ্যায় পুলিশের বিশেষ সেবা ‘৯৯৯’ এ ফোন করে ঘটনাটি জানায়।
নিহত রাসেলের পরিবারের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে রাসেলকে পরিকল্পিতভাবে চুরির অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে অত্যাচার করে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এ সময় তারা অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থলে যাওয়া ও লাশ উদ্ধারকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন জানান, মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে এই হত্যা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে তথ্য পেয়েছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।