চোখ উঠা রোগের সাধারণত প্রকোপ থাকে গ্রীষ্মকালে। তবে এবার শরৎকালে এ রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে নারায়ণগঞ্জ সহ সারাদেশে।
চোখের চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশই চোখ উঠা রোগী। প্রতিদিন ১০০ জনের অধিক রোগী হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসছেন। ছোঁয়াচে হওয়ায় পরিবারের কয়েকজন সদস্য একসাথে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় প্রতিটি ঘরেই কেউ না কেউ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
নারায়ণগঞ্জের বেশীরভাগ হাসপাতাল ও ফার্মেসীগুলো ঘুরে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জের হাসপাতালসহ বিভিন্ন ফার্মেসীতে চোখ উঠা রোগীদের চিকিৎসা নিতে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এটি এক ধরণের ভাইরাস জনিত রোগ, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভার বলা হলেও গ্রামাঞ্চলে রোগটি চোখ ওঠা রোগ নামেই বেশ নামেই পরিচিত। রোগটি ছোঁয়াছে, ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আক্রান্তদের বেশীর ভাগই শিশু ও নারী। সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যেই এই রোগ সেরে যায়। তবে অসাবধানতার কারনে এটি জটিল রূপ ধারণ করতে পারে।
নারায়ণগঞ্জের বেশির ভাগ ঘরেই এখন চোখ ওঠা রোগী। হাসপাতাল গুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যেই এই রোগ সেরে যায়। তবে জটিল রূপ ধারণ করলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।