সড়কে গাড়ির চাকা ঘুরলেই দিতে হবে টাকা। করোনার মহামারির এই সময়েও বদলায়নি চাঁদাবাজির সংজ্ঞা। চাঁদার মচ্ছব চলছে নিয়ম মেনে, ঘাটে-ঘাটে। শুধু পাল্টেছে কৌশল। আগে সড়কে গাড়ি আটকে তোলা হতো চাঁদা। এখন চাষাঢ়া শান্তনার সামনে যাত্রী তোলার এক ফাকে ট্রাফিককে গুঁজে দেওয়া হচ্ছে টাকা। তবে মাঝপথে থাকে পুলিশের বাগড়া, হঠাৎ থেমে যায় গাড়ির চাকা। পুলিশের পকেটে টাকা পড়লেই গাড়ি ছোটে নির্দিষ্ট গন্তব্যে।
ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ও পরিবহন শ্রমিকরা মিলে গড়ে তুলেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। পরস্পরের যোগসাজশে কৌশলে সড়ক-মহাসড়কে চলছে টাকার খেলা।
জানা গেছে, প্রতিদিই শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া গোলচত্বরে কয়েকটি স্পটে একাধিক বাস দীর্ঘক্ষণ স্ট্যান্ড করিয়ে যাত্রী উঠায় মৌমিতা পরিবহন। ৫ থেকে ১০ মিনিট পর একটি বাস এসে যখন পিছনে দাঁড়িয়েছে তখনই দাঁড়ানো বাসটি ঢাকার দিকে যাচ্ছে। তারপর আবারও পরবর্তী বাসটি দাঁড়িয়ে আছে। এতে করে সারাক্ষণ মৌমিতা পরিবহনের একটি বাস দাঁড়িয়েই আছে। শুধু যে শান্তনা মার্কেটের সামনে এমনটা তা নয়। মেট্রো হল মোড় থেকে মৌমিতা ছেড়ে আসলেও খাজা মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠায়। সেখান থেকে শান্তনা মার্কেটের সামনে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে আবারও রাইফেল ক্লাবের উল্টো পাশে দাঁড়িয়ে থাকে।
পথে পথে চাঁদা গুনতে হচ্ছে গাড়িচালকদের। আর এই চাঁদার টাকার ষোলো আনাই তুলে নেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের পকেট থেকে।যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ইচ্ছামতো। এই ভাড়ার একটি বড় অংশ চলে যাচ্ছে চাঁদাবাজদের হাতে। টাকা দিলে দূরপাল্লার বাসও চলতে পারছে বীরদর্পে।
মৌমিতা বাসের হেল্পারদের ট্রাফিক পুলিশের সাথে টাকার বিনিময় করতে দেখা যায় কিন্ত কিসের বিনিময়ে এই টাকার আদান প্রদান তার প্রশ্ন রয়েই গেলো সাধারন জনগনের।
সাংবাদিকদের দেখলেই টাকা না নিয়ে উল্টা বাসগুলো তাড়িয়ে দেন আর সাংবাদিক না থাকলেই গোপনে হেল্পার থেকে টাকা নিয়ে বাসগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেও কিছু বলেনা।