নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নারায়নগঞ্জে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যানবাহন এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দূর্ঘটনা অকালেই হারাচ্ছে হাজারো প্রাণ। উচ্চ আদালত এবং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্যকরে অবাধে চলাচল করছে এসব অবৈধ যানবাহন।
আদালতের রায় কিংবা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর পুলিশ কিছুদিন অভিযান চালালেও একসময় সেই অভিযান বন্ধ হয়ে যায়, ফের চলতে শুরু করে ব্যাটারি চালিত অবৈধ মিশুক,অটো, শ্যালোইঞ্জিন চালিত নসিমন, করিমন ট্রলি, সিএনজি।
কোনভাবেই মহাসড়কে এই অবৈধ যানবাহন থামানো যাচ্ছে না। এর ফলে প্রতিনিয়তই মহাসড়কে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা, এতে পথচারী, যাত্রী, চালক, শ্রমিক অকালেই প্রাণ হারাচ্ছে আবার অনেকেই অঙ্গহানী হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সড়ক-মহাসড়কে এ সব যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ হলেও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায়,কথিত কিছু সাংবাদিকদের মাসোয়ারা ও পুলিশকে ম্যানেজ করে তা চলছে। জেলা ট্রাফিক পুলিশ ও স্থানীয় থানা পুলিশের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করলে অনুমতি মিলছে। এর ফলে এগুলোর চলাচল দিন দিন বাড়ছে।
চাষাড়া রেকারে থাকা ট্রাফিক পুলিশ শহিদুল,শফিকুল,হাসান,আবুল বাশার সকাল নারায়ণগঞ্জ কে জানান,তারা ১০০ গাড়ি আটক করলে ৭০-৮০ টাই কথিত কিছু সাংবাদিকদের নাম বলে। তাদের নাম বললে গাড়ী না ছারলেই আমাদের নিয়ে মিত্থা বানোয়াট লেখা শুরু করে দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মিশুক চালক বলেন, এই যানবাহনই তাদের উপার্জনের একমাত্র উপায়। এই যানবাহনগুলো সড়কে চলাচলের অনুমতি না থাকায় তাদের উভয় সঙ্কটের মধ্যে চলতে হচ্ছে।
তারা আরও জানান, পুলিশকে টাকা দিয়ে তারা সড়কে গাড়ি চালানোর অনুমতি নিয়েছেন। মাসিক চুক্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে মালিক সমিতির মাধ্যমে তাদের ম্যানেজ করা হয়। এ কারণে অভিযান চললেও পরিচয় দিলে তারা ছাড় পান। তবে মাঝে মাঝে পুলিশের ওপরের চাপ থাকলে তারা গাড়ি রেকারে নিয়ে গিয়ে জরিমানা করেন।
এ সব অবৈধ যানবাহনের কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় অন্যান্য যানবাহনগুলোকে। অবৈধ এই যানবাহনের চালকরা প্রশিক্ষিত না হওয়ায় ছোট-বড় দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক বিভাগের (টিআই ১) করীম শেখের সাথে কথা ফোনে কথা বলতে গেলে তাকে লাইনে পাওয়া যায়নি।