দায়িত্ব পালন নয়, রিক্সা, অটোরিক্সা, অটোটেম্পু, নছিমুন-ভটভটি এ জাতীয় যানবাহনের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়াই যেন নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের প্রধান কাজ।
তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই শহরে সব সময় যানজট লেগে থাকে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নারায়ণগঞ্জ শহরের বাসিন্ধারা। তবে এ ধরনের অভিযোগ সব সময়ই অস্বীকার করে আসছে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ। জেলা পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তারা ট্রাফিক পুলিশ এমন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় বলেই দাবি করছেন।
যদিও শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আইনজীবী থেকে শুরু করে রাজনীতিবীদসহ সাধারণ মানুষ জেলার ট্রাফিক পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করছেন। সরেজমিনে ৫ই আগস্ট শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়া জিয়া হলের সামনে অবস্থিত ট্রাফিক বিভাগের কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট পুলিশ আসাদ কে কাগজ পত্র এবং হেলমেট ছাড়া একটি বাইক আটক করতে দেখা গেলেও।
কিছুক্ষন পরে মোটর সাইকেলের মালিককে চাবি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। মোটর সাইকেল ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে তার কাছে সকাল নারায়ণগঞ্জের একজন প্রতিবেদক মোটর সাইকেল ছেড়া দেয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন তার কাছে ফোন দিয়ে কেও অনুরোধ করার কারনে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন।কিন্তু তিনি সেই ব্যাক্তির আসল পরিচয় সকাল নারায়ণগঞ্জের প্রতিবেদক কে জানান নি।
স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেল চালক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের গাড়ি চালকরা এমন কেউ নেই যে, অহেতুক হয়রানির শিকার হননি ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্টদের হাতে। অথচ যাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে, অথবা রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী তারা পার পেয়ে যাচ্ছেন। এমনকি পুলিশের সাথে সম্পর্ক আছে এমন লোকজন গাড়ির কাগজপত্র ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
তাদেরকে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নেই কেন, এই প্রশ্নটুকু করেননা পুলিশ সদস্যরা। এ ব্যাপারে ট্রাফিকের (টিআই ১) করিম শেখের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সকাল নারায়ণগঞ্জ কে জানান,উক্ত বিষয়ে তিনি অবগত নয়। যদি ট্রাফিক পুলিশ আসাদ এইধরনের কাজ করে থাকেন তাহলে সেটা তার ভুল ছিল।আমি এব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিব।