বেতন ভাতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার দাবিতে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সংগঠন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে মূল সড়কের একপাশ বন্ধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।
এর আগে বুধবার (৩ আগষ্ট) ও মঙ্গলবার (২ আগস্ট) নগরভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছিল পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
এদিকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দাবি, নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভির কাছে দাবির ব্যাপারে গেলেও তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করেননি।
উল্টো আন্দোলনে মাঠে নামলে তাদের কথা না শুনে বুধবার (০৩ আগস্ট) কাউন্সিলরসহ সফর সঙ্গীদের নিয়ে বিদেশ সফরে চলে যান মেয়র।
আজকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে দাবি মানা না হলে আগামীকাল শুক্রবার থেকে নগর পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম বন্ধ করে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।
ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ বিপ্লব বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আজ যদি আমাদের দাবি মানা না হয় তাহলে কাল থেকে এই নগরীর পরিচ্ছন্নতা কাজে আমরা আর হাত দেবো না। এই নগরী পরিচ্ছন্ন হবে না, ময়লা অপসারণ হবে না।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এখনও আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসেনি বা কোন আশ্বাস দেয়নি। তারা বলছেন, এসব দাবি সরকারের কাছে বলতে।
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, মাত্র দেড় থেকে ২ হাজার টাকা বেতন দিয়ে কি কারো পরিবার চলে?
এর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাছে বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ছয় দফা দাবি পেশ করে ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। তাদের দাবিগুলো হলো- বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ মোতাবেক শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে কর্মরত সব পরিচ্ছন্নকর্মীর চাকুরি স্থায়ী করতে হবে। সব পরিচ্ছন্নতাকর্মীর নূন্যতম দৈনিক হাজিরা ৬৫০ টাকা ও ট্রাক শ্রমিকদের ৭৫০ টাকা করতে হবে এবং প্রত্যেক শ্রমিকের বেতন সমপরিমাণ ঈদ বা পূজার বোনাস দিতে হবে। প্রতি ওয়ার্ডে ২ জন করে ডোম নিয়োগ দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার সময় যদি কোনো শ্রমিক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে, তাহলে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। এছাড়া যদি স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যুবরণ করে, তবে তার কাষ্ট বা দাফনের জন্য আগের বরাদ্দ ৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর অঞ্চলে পরিচ্ছন্নকর্মীদের স্থায়ী বসবাসের জন্য বহুতল ভবন তৈরি করতে হবে।