সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় বাজারে ব্যাপক আয়োজন করে বিশাল আকৃতিতে বসেছে জেলা প্রশাসকের অনুমোদনহীন অবৈধ মেলা , প্রকাশ্যে চলছে মাদক, জুয়া ও মেলায় আলোক সজ্জার জন্য দেয়া হয়েছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ।
বৃহস্পতিবার ২১ জুলাই থেকে মেলাটি চালু করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আর এই মেলাটির পরিচালক হলেন জুয়ারী মিঠু। এই ধরনের মেলাগুলিতে জুয়া, মাদক, নারীর দেহ ব্যবসা এবং কিশোর গংদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ ঘটে থাকার কারণে প্রশাসন এই ধরনের মেলা কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
সাম্প্রতিক কালে বাণিজ্যিক হস্তশিল্প বা কুটির শিল্পর মেলার আয়োজন করতে গেলে লাগে জেলা প্রশাসকের অনুমোদন। জেলা প্রশাসকের তদারকির মাধ্যমে নিয়ম-কানুন বেদে দিয়ে এই সকল মেলাগুলির অনুমোদন দেওয়া হয়।
কিন্তু জুয়ারি মিঠু এই নিয়মকানুন তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে অবৈধ কিছু লোকের ছত্র ছায়ায় সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা, বন্দর, সোনারগাঁও এমনকি নারায়ণগঞ্জ সদরে ও বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে এই অবৈধ মেলা। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড সানারপাড় বাজার সংলগ্ন ফজলুল হকের বালুর মাঠে তার এই দৃশ্য দেখা যায়।
জুয়াড়ি মিঠু স্থানীয় ক্যাডার বাহিনীর শেল্টারে এই মেলা বসিয়েছে। মেলাকে ঘিরে সন্ধ্যার পর জমে উঠে মাদক বেচাকেনার হাট। কিশোর গ্যাং, মাদকসেবী ও বখাটেদের উশৃঙ্খলাতায় বিব্রত হচ্ছে মেলায় স্থানীয় প্রতিবেশী ও পথচারীরা।
উচ্চস্বরে মাইকে অশ্লীল গানবাজনা ও হইহুল্লায় শিক্ষার্থীসহ এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মেলার হরেকরকম দোকানপাট, নাগর দোলা, নৌকা দোলা, চরকি, চোরকি জুয়া, লটারি জুয়া বসানো হয়েছে বিনোদনের নাম দিয়ে। মাত্র তিন মিনিটের জন্য নৌকা দোলার টিকিট ৩০ টাকা, নাগর দোলায় ৩০ টাকা, ট্রেন ২০, চরকি ২০ টাকা লটারি জুয়া ২০০ টাকা গুনে দিতে হয়। হরেকরকম দোকান থেকে চাঁদা নেওয়া হয় দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০শত টাকা করে। দোকানে বিদ্যুৎ লাইট জ্বালানো বাবদ দিতে হয় ১০০ করে টাকা।
দেশে যেখানে বিদ্যুৎ ঘাটতি চরমে।
প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা ঘন্টা হচ্ছে লোডশেডিং বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটানোর জন্য। আর এদিকে ব্যাপক আলোকসজ্জা করে সাজিয়েছে এই অবৈধ মেলা অসাধু কিছু কর্মকর্তা।