বন্দরে স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ঘটনায় স্বামী রায়হান (২৬)কে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পাষান্ড শশুড় বাড়ি লোকজনদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টায় বন্দর রেললাইনস্থ জনৈক মতিন মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে নিরিহ আহত রায়হান বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন সন্ধ্যায় তালাক দেয়া স্ত্রী অনামিকা ও তার বড় ভাই শুভ এবং তাদের পিতা আক্তার হোসেনকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ বছর পূর্বে বন্দর কোর্টপাড়া এলাকার আব্দুল কাদির মিয়ার ছেলে রায়হান একই থানার বন্দর দত্তবাড়ি এলাকার আক্তার হোসেনের মেয়ে অনামিকাকে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করে।
বিয়ের পর থেকে ১নং বিবাদী শশুড় আক্তার হোসেন ও ৩নং বিবাদী বড় ভাই শুভ কু-পরামর্মে ২নং বিবাদী অথ্যাৎ তার স্ত্রী অনামিকা আক্তার বিভিন্ন সময়ে মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে। ছোট খাটো বিষয়কে কেন্দ্র করে ২নং বিবাদী অনামিকা প্রায় সময় অকথ্য ভাষা গালাগালিজ করে ঝগড়া লিপ্ত হয়ে নিরিহ স্বামী রায়হানকে প্রবান নাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
এক পর্যায়ে পাষান্ড স্ত্রী ও তার শশুড় বাড়ি লোকজনদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গত ২০ জুলাই বুধবার নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে হাজির হয়ে পাষান্ড স্ত্রী অনামিকাকে তালক প্রদান করে।
ওই তালাক প্রদানকে কেন্দ্র করে শনিবার ২৩(৭)২২ সকাল ১০টায় পাষান্ড শশুড় আক্তার হোসেন ও তার ছেলে শুভসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন বন্দর রেললাইনস্থ ভাড়াটিয়া বাড়িতে এসে নিরিহ রায়হানকে বেদম ভাবে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
তালক প্রদান করে বর্তমানে রায়হান চরম নিরাপত্তহীনতায় রয়েছেন বলে জানান।