ফতুল্লায় ব্যাটারী চালিত মিশুক চালককে ছুরিকাঘাত করে মিশুক ছিনতাইকালে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
আহত মিশুক চালক শামিম (২০) ফতুল্লা মডেল থানার মুসলিম নগরের শরিফুল ইসলামের পুত্র। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টায় ফতুল্লা মডেল থানা সীমান্তের চর কাশিপুর এলাকায়।
আটককৃত দুই ছিনতাইকারী হলো ফতুল্লা মডেল থানার শাসনগাঁওস্থ সাগরের বাড়ীর ভাড়াটিয়া শফিকুল ইসলামের পুত্র আব্দুল খালেক(৩২) ও একই এলাকার নুরার বাড়ীর ভাড়াটিয়া মৃত ওমর আলীর ভাড়াটিয়া মোঃ কোরবান আলী(৩৩)।
এ ঘটনায় অটো- মিশুক রিক্সা গ্যারেজ মালিক ফতুল্লা মডেল থানার শাসনগাও মাতবর বাড়ীর ইমাম হোসেনের পুত্র মোঃ সুজন বাদী হয়ে শনিবার(২৩জুলাই) মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, যে বাদীর মুসলিমনগরস্থ একটি রিক্সার গ্যারেজ রয়েছে।আহত শামীম গত ৭-৮ মাস ধরে তার গ্যারেজ হতে মিশুক-অটোরিক্সা ভাড়া নিয়ে চালিয়ে আসছিলো। শুক্রবার বিকেল পাচঁটার দিকে শামীম গ্যারেজ থেকে মিশুক নিয়ে বের হয়।
রাত সাড়ে দশটার দিকে পঞ্চবটী থেকে চর কাশিপুর যাওয়ার জন্য ভাড়া করে গ্রেফতারকৃত দুই যুবক।রাত সাড়ে ১১ টার দিকে চরকাশিপুরস্থ সিরাজ মাতাব্বুরের গরুর ফার্মের সামনে যাওয়া মাত্র যাত্রীবেশী দুই ছিনতাইকারী চাকুর ভয় দেখিয়ে মিশুকটি ছিনতাই করতে চাইলে চালক শামীম বাধা প্রদান করে।
এতে করে শামীমের পায়ে ও শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাত করে মিশুকটি ছিনতাইয়ের চেস্টা করে। এ সময় শামীম আত্ন-রক্ষার্থে ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয় পথচারী ও এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। অপরদিকে দ্রুত গতিতে চালিয়ে মিশুকটি নিয়ে যেতে চাইলে মিশুকটি রাস্তায় উল্টে যায়।
এতে করে এলাকাবাসী এগিয় গিয়ে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে গণপিটুনি দেয় এবং আহত মিশুক চালক শামীম কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করে। পুলিশ গণপিটুনির শিকার দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম জানা, মামলা হয়েছে। আটককৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তাদেরকে চিকিৎসা শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।