নারায়ণগঞ্জ চানমারী নতুন কোর্ট এলাকার বর্তমান মাদক সম্রাট হলেন ইয়াকুব ওরফে হৃদয় ও তার বড় ভাই হোসেন।
নারায়ণগঞ্জের এসপি অফিসের পিছনে নতুন কোর্ট এলাকার মত জায়গায় কিভাবে প্রাকাশ্য ইয়াকুব ওরফে হৃদয় ও তার ভাই হোসেন মাদক ব্যবসা করছেন তা স্থানীয়দের বোধগম্য নয়।
বর্তমানে পরিবারের কমবেশী প্রায় সবাই মাদক ব্যবসায় জড়িত। আর এই মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে তাদের ভাগ্যের চাকা দ্রুত বদলে ফেলেছেন । বাড়ি,গাড়ি,জমিসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে কোটি কোটি টাকার মালিক তারা। বিভিন্ন ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসাকে নিরাপদ রাখতে চালু করেছেন বিভিন্ন কৌশল। বিভিন্নস্থানে নিয়োগ করেছেন বেতনভোগী সোর্স। অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কিছু অসাধূ লোকজন তাদের থেকে নিচ্ছেন মাসোয়ারা। আগে পরিবারের লোকজন হেরোইন ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলেও এখন নারায়ণগঞ্জ এসপি অফিসের পিছনে নতুন কোর্ট এলাকার ইয়াবা ডিলার ইয়াকুব ইসলাম ওরফে হৃদয় এবং তার বড় ভাই হোসেন।
কুখ্যাত ইয়াবা ডিলার ইয়াকুব ও হোসেন দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার বিচন্দ্রপুর এলাকার হযরত আলীর পুত্র এবং তার বর্তমান ঠিকানা হলো নারায়ণগঞ্জ জেলার চানমারী এলাকার জাকির সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক সম্রাট পুলিশের বন্দুক যুদ্ধে নিহত দেলোয়ার ওরফে মাস্টার দেলুর সহকারী ইয়াবা ডিলার ইয়াকুব ও হোসেন।
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ইয়াবা ডিলার খ্যাত ইয়াকুব ও হোসেন, চানমারী এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে, চানমারী, খানপুর রেললাইন, শিবু মার্কেট,ওয়াবদারপুল,কাঠেরপুল,হাজীগঞ্জ,আদমজী, নবীগঞ্জ, বন্দর, সহ পুরো নারায়ণগঞ্জে ইয়াবা ডিলার হিসেবে পরিচিত।
মাদক কারবারি ইয়াকুব ও হোসেন এর নামে টেকনাফ থানায় সব সারাদেশে এক ডজন ইয়াবা মামলা রয়েছে, মাদক কারবারি ইয়াকুব ও হোসেন ১৫/২০ জনের মহিলা সিন্ডিকেট তৈরি করে টেকনাফ থেকে মুখে খেয়ে পেটের ভিতরে করে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসে প্রতিদিন হাজার হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট।
নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিক্রি করছে রয়েছে পুলিশের ধরা ছোয়ার বাহিরে।
ইয়াবা সম্রাট ইয়াকুব ও হোসেন মাদক ব্যবসা করে নারায়ণগঞ্জের যুব সমাজ ধংস করছে, নারায়ণগঞ্জের শুশীল সমাজের দাবি মাদক কারবারি ইয়াকুব ও হোসেন কে নারায়ণগঞ্জ থেকে উৎখাত করা হউক।
গত ২০২১ সালের ২১শে মার্চ ৪৫৭ পিস ইয়াবাসহ এবং ৩১ জুলাই ১৯ গ্রাম হেরোইন ও ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মাদক সম্রাট ইয়াকুব ওরফে হৃদয় গ্রেফতার হন,যার মামলা নাম্বার ৪৯।
‘দুই বস্তা বালু আর তিন গাড়ি ইট লাগবে, আর পোলাপাইন থাকলে একটু ঠান্ডা পাঠায়া দিয়েন, আগের জায়গায় আসলেই হবে পাশে নতুন ভবনের কাজ ধরছিতো’। ‘ঠিক আছে ভাইজান, দাম একটু বাড়ছে, সমস্যা নাই আবার ঠিক হইয়া যাইবো, ভাই টিকটিকি (সাদা পোশাকের পুলিশ) থাকলে আওয়াজ দিয়েন’ ‘ওকে’। এটি একজন মাঠ পর্যায়ের মাদক ব্যবসায়ী ও ডিলারের ফোনালাপ।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে এভাবে চলছে মাদক বিক্রি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে ফোনালাপে চলে বিক্রি। আগের মত নির্দিষ্ট কোনো স্পট না থাকলেও যে যার জায়গায় বসে শুধু লোকেশন জানিয়ে দিলেই পৌছে যাচ্ছে মাদক।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রিয়াজুল হক সকাল নারায়ণগঞ্জের নিজস্ব প্রতিবেদক কে জানান, ফতুল্লার কোন মাদক ব্যবসায়ী কে ছাড় দেয়া হবেনা। আমরা এখন যেহেতু জানতে পেরেছি নতুন কোর্ট এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের উপর যথাযথ ব্যবস্থা নিব এবং মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অবগত করব।