র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়াও যেকোন চা ল্যকর মামলার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য র্যাব ছায়া তদন্ত করে আসছে।
গত ১৪ জুলাই ২০২২ তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার পাগলার বৈরাগীবাড়ি এলাকায় বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে এসে এক তরুণী (১৯) গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করে যার মামলা নম্বর-৩৩, তারিখ-১৬/০৭/২০২২ ; নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ধারা ৯(৩)। উক্ত ঘটনা বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রচারিত হয় যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
উক্ত গণধর্ষণের ঘটনায় পলাতক আসামীদের সনাক্তকরণ ও গ্রেফতারের নিমিত্তে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২০ জুলাই ২০২২ তারিখে র্যাব-১১, সিপিসি-১ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী অজয় মন্ডল (২৬), পিতা- নগেন ওরফে নগেন মন্ডল, সাং-পাগলা বৈরাগীবাড়ি, থানা-ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জকে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন তেতৈই তলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত তিন মাস পূর্বে ভিকটিমের স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে ভিকটিম তার পিতার বাড়ীতে অবস্থান করে এবং মাঝে মধ্যে বান্ধবী শ্রাবন্তীর পাগলা বৈরাগী বাড়ীর বাসায় বেড়াতে আসে। ইং ১৩/০৭/২০২২ তারিখ রাতে ভিকটিম তার বান্ধীর বাড়ীতে অবস্থান করে। ই
১৪/০৭/২০২২ তারিখ রাতে বান্ধবীর বাড়ীর পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে খাবার কিনে ফেরার পথে ০২নং বিবাদী শাওন ভিকটিমের পথরোধ করে কথা আছে বলে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে শাওনের পাগলা বৈরাগী বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্বে থেকেই আসামী অজয় মন্ডল ও রনি অবস্থান করছিল। একপর্যায়ে ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে আসামীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আসামীরা ভিকটিমের জ্ঞান ফিরলে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়।
অত্র মামলার অন্যান্য পলাতক আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত আসামী অজয় মন্ডল (২৬) এর বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।