সকাল নারায়ণগঞ্জ
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৮ জনকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৯ জুন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন আরিফুলের বোন জেবুন্নেছা রিমা, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মচারী হুমায়ুন কবির হিমু ও তার স্ত্রী তানজিলা পাটোয়ারী এবং জেকেজির কোঅর্ডিনেটর আবু সাঈদ চৌধুরী, কর্মচারী বিপুল দাস ও শফিকুল ইসলাম রোমিও।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি, বিশ্বাসভঙ্গ, অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব পেয়েছিল জেকেজি হেলথকেয়ার। ২০২০ সালের জুনে অভিযোগ আসে, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল জেকেজি। নমুনা পরীক্ষা না করে রোগীদের ভুয়া সনদও তারা দিচ্ছিল।
এক ব্যক্তির অভিযোগের সত্যতা পেয়ে জেকেজি হেলথ কেয়ারের সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কম্পিউটারে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া সনদ পাওয়া যায়। তাদের কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তেজগাঁও থানা পুলিশ জেকেজির সিইও আরিফুল চৌধুরী, তার বোন জেবুন্নেছাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করা হয় ডা. সাবরিনাকেও। সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গ্রেফতারের পর দুই মাস তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে নমুনা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগপত্রে সাবরিনা ও আরিফকে জালিয়াতির হোতা বলে উল্লেখ করা হয়। আর বাকি আসামিদের ক্ষেত্রে বলা হয়, তারা ওই জালিয়াতিতে সহযোগিতা করেছেন। ওই বছরই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান।