সকাল নারায়ানগঞ্জঃ রুপগঞ্জে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিতে ফাঁড়িতে আটকে রেখে দম্পতির নিকট চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহারসহ দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত বুধবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে ভুক্তভোগী আজিজুল ইসলাম সুজন বাদী হয়ে ইনচার্জ শফিকুলসহ তার ফুফাতো ভাই হুমায়ূন হোসেন ও সোর্স আলামিনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার সত্যাতা নিশ্চিত কের রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, অন্যায়কারী যেই হোক না কেন পুলিশ প্রশাসন কাউকে ছাড় দেবে না।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভোলাব ইউনিয়নের পাইস্কা এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে আজিজুল ইসলাম সুজন ও তার স্ত্রী কাঞ্চন এলাকার হানিফ হুজুরের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে আসছেন। বুধবার বিকেলে তার গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে কাঞ্চন বাজারের নুপুর ফার্মেসিতে ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় ফিরছিলেন আজিজুল। কালাদী বাসস্ট্যান্ডে পৌছালে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শফিকুল ইসলামের ভাই হুমায়ূন হোসেন ও তার সহযোগী আলামিন নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঐ দম্পতিকে জোরপূর্বক কাঞ্চন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। পরে তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
আজিজুল চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদেরকে ১০০ পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে ইনচার্জের ভাই ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগী আজিজুল ইসলামকে বেধড়ক পেটায় এবং তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে আজিজুল ইসলাম সুজন তার মাকে খবর দিলে তিনি পুলিশ ফাঁড়িতে আসেন। পুলিশ পরিচয়দানকারী ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের ভাই চাঁদাবাজ হুমায়ূন হোসেন ও আলামিন তার মাকেও ইনচার্জের কক্ষের ভিতরে নিয়ে যায়। পরে ৩৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তার ছেলে ও ছেলের স্ত্রীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান মা। এ সময় ভুয়া পুলিশ পরিচয়দানকারীরা এই ঘটনা নিয়ে জানাজানি হলে তাদেরকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি প্রদান করে।