সকাল নারায়ণগঞ্জ
কিছুতেই কমানো যাচ্ছেনা খানপুর তল্লা রেল লাইন এলাকার মাদক ব্যবসা কিন্ত এর দুর্বলতা কোথায়।
দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা কত তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। মাদকের ছোবলে কত পরিবারের আশা-আকাঙ্ক্ষা বা স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়েছে, তারও সঠিক হিসেব নেই। প্রতিদিন যে পরিমাণ মাদকদ্রব্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে জব্দ হয়, এ থেকে মোটাদাগে স্রেফ একটা ধারণা পাওয়া যায়, ডালপালা মেলে কতটা বিস্তৃত হয়েছে মাদক কারবারীদের নেটওয়ার্ক।
তল্লা রেল লাইন এলাকায় এখন শুধু মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা এই রুট কিছুদিন পর বিশ্বরোড করার পরিকল্পনা করলেও এই মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য কোন সাধারন মানুস এইখান দিয়ে চলাফেরা করতে পারছেনা।
মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে শক্ত আইনও প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ। ইয়াবা, কোকেন, হেরোইন ও প্যাথিড্রিন জাতীয় মাদকের ব্যবহার, পরিবহন, চাষাবাদ, উৎপাদন, আমদানি-রফতানি বা বাজারজাতে রাখা হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ডের বিধান। তবে এমন শাস্তির খড়্গও ঠেকাতে পারছে না মাদকের চোরাচালান।
তল্লা রেল লাইন এলাকা সারা নারায়নগঞ্জ বাসীর কাছে মাদক স্পট নামেই পরিচিত লাভ করেছে।
আইন কিংবা মাদক নির্মূলে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রচেষ্টার পরও ইয়াবাসহ মাদক আসছেই। সীমান্তে কড়াকড়ি, কথিত ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধ, গণআত্মসমর্পন কিংবা কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে বিশেষ ও যৌথ নজরদারি জোরদারের পরও বন্ধ হয়নি মাদক আসা।
গত ১২ বছরের পরিসংখ্যান বলছে মাদকের চোরাচালান বেড়েছে। এমন কোনো দিন নেই সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিজিবির হাতে মাদকদ্রব্য জব্দ হচ্ছে না।
নারায়ণগঞ্জে মাদকের ট্রানজিট রুট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে চাষাঢ়া চানমারী এলাকা হয়ে তল্লা রেল লাইন এলাকা।
বাংলাদেশে মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে লড়াইটা দৃশ্যত ইয়াবার বিরুদ্ধে; যা আসে গোলাপি ট্যাবলেট হিসেবে। এটি তৈরি হয় মূলত মেথঅ্যাম্ফিটামিন ও ক্যাফেইনের মিশ্রণে। কখনও কখনও এর সাথে হেরোইন মেশানো হয়। এ মাদকের মূল উপাদানগুলোর চোরাচালান বেশি হচ্ছে থাইল্যান্ড, চীন, মিয়ানমার থেকে।