সকাল নারায়ণগঞ্জ
মাদকে ভাসছে গোটা টানবাজার সিটি কলোনী এলাকা। সেই সাথে পিছিয়ে নেই টানবাজার শীতলক্ষ্যা নদীর পার। হাত বাড়ালেই মিলছে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। জেলা পুলিশ উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা বার বার মাদকের ব্যাপারে কঠোর হুংকার দিলেও কিছুতেই কর্ণপাত করছে না মাদক ব্যবসায়ীরা। তারা যেন দিব্বি তাদের এই অবৈধ ব্যবসা দিনে দুপৃুরে পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তাই সচেতন মহল দাবী তুলেন এই মাদককারবারীদের বিরুদ্ধে এখনি কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় তাদের মাধ্যমে যুব সমাজ ধ্বংস হবে।
তবে সদর থানা পুলিশ থানার অন্যান্য এলাকায় মাদকের ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা নিলেও নগরীর সিটি কলোনী এবং শীতলক্ষ্যা নদীর পার এলাকায় পুলিশের তৎপর না থাকায় আর এ সুযোগে এই এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। তাছাড়া এলাকাবাসি জানান, টানবাজার সিটি কলোনী এলাকায় ইয়াবা,হেরোইন, গাজা নিয়ন্ত্রণ করেন নুর ইসলাম প্রকাশ শিবা ও মদের ডিলার বিশাল দাস।
বিশাল দাসের সহযোগী হিসেবে রয়েছেন মামুন দাস। নুর ইসলাম প্রকাশ শিবা কয়েকদিন আগেও মাদক সহ মাদক অধিদপ্তরের কাছে গ্রেফতার হন। ছাড়া পেয়ে আবার ব্যবসা শুরু করেন। ইতিমধ্যে এই এলাকায় নুর ইসলাম প্রকাশ শিবা ও বিশাল দাস এখানকার মাদকের নব্য ডন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তাদের কাছে গেলেই মাদক পাওয়া যায় বলে জানান স্থানীয়রা। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না।
তবে সচেতন মহল মনে করেন, শুধু ছিচঁকে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে মাদক নির্মূল কিছুতেই সম্ভব নয়। এছাড়া থানা পুলিশের দূর্বল চার্জশিটে, মামলার দীর্ঘ সূত্রতা সাক্ষীর অভাবের কারণে আইনের ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছে। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাঝে মাঝে কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দিচ্ছে। এই সাজা আপিল যোগ্য বিধান থাকায় এরা সাজা শেষ হওয়ার আগেই জামিনে বের হয়ে আসছে।
সচেতন মহলের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে যে সব মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেফতার হয় তার বেশীর ভাগই সেলসম্যান অথচ মাদকের মুল গড ফাদাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে থাকছেন ধরা ছোয়ার বাহিরে। তাদের সেলসম্যানরা গ্রেফতার হলে মূল ব্যবসায়ীরা তাদের আদালত থেকে জামিনে মুক্ত করে আবার একই ব্যবসায় নিয়োজিত করান। এছাড়া মাদক সম্রাটরা কখনো কখনো কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে। আবার কেউ কেউ নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে জমজমাট পরিসরে মাদক ব্যবসা করছে।
এ মাদকের বিষয়ে এলাকার সচেতন মানুষ যদি কোন প্রতিবাদ করে তবে গডফাদাররা সে সব লোকজনকে কোন না কোন ভাবে ফাঁসিয়ে দিয়ে উল্টো তাদেরকে হয়রানি করতে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের দাবী মাদক ব্যবসায়ীরা সমাজের এবং দেশের শত্রু। মাদককারবারি করে কেউ পার পাবে না। এই বিষয়ে বিশাল দাসের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরু টলারেন্স। কোন মাদককারবারিকে ছাড় দেয়া হবে না।