1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
সুফিয়া কামালের ১১১(তম) জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণীঃ - সকাল নারায়ণগঞ্জ
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
জুলাই অপরাধী-দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ ও বিচার করুন  জাতীয় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রোডমার্চ নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোড ও মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসবে এসপির অংশগ্রহণ  মুসলিম ভূখন্ডে ইসরাইলী হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বিক্ষোভ মিছিল। পুরো প্রজন্ম ধ্বংস করতে একজন মাদকাসক্তই যথেষ্ট: মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান  বিএনপির সদস্য নবায়নে টিপুর হুঁশিয়ারি: ‘স্বজনপ্রীতি চলবে না প্রেসক্লাবের ২০২৫-২০২৭ নির্বাচনে সভাপতি মাসুদ ও সাধারণ সম্পাদক পন্টি চাষাড়া শহীদ মিনারের সামনে ভোগান্তি মূলক সাইনবোর্ড অপসারন না:গঞ্জ জেলার সকল বাস ও ট্রাক ড্রাইভারদের নিয়োগ পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ গড়তে জলাশয়পরিস্কারকরণ উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

সুফিয়া কামালের ১১১(তম) জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণীঃ

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট সোমবার, ২০ জুন, ২০২২
  • ৮৭ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

দেশে ‘নারী জাগরণের অগ্রদূত’ মহীয়সী নারী কবি সুফিয়া কামালের ১১১তম জন্মবার্ষিকী কাল। ‘জননী সাহসিকা’ হিসেবে খ্যাত এই কবি ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। সুফিয়া কামাল আজীবন মুক্তবুদ্ধির চর্চার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিপক্ষে সংগ্রাম করে গেছেন। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় মারা যান।


কবির জন্মদিন উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।


রাষ্ট্রপতি বলেন, কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন বাংলাদেশের নারী সমাজের এক ও অনুকরণীয় উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। তিনি নারী সমাজকে কুসংস্কার আর অবরোধের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। দেশের সকল প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। নারীদের সংগঠিত করে মানবতা, অসাম্প্রদায়িকতা, দেশাত্মবোধ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে তিনি ছিলেন পথিকৃৎ।


প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা ও প্রতিভা কবি সুফিয়া কামালের জীবনে সঞ্চারিত হয় ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। তাঁর দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়র প্রথম ছাত্রীনিবাসের নাম ‘রোকেয়া হল’ রাখা হয়। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার বেতারে রবীন্দ্র সংগীত প্রচার নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে তিনি আন্দোলন গড়ে তোলেন। শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা’র তিনি প্রতিষ্ঠাতা।


প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তার প্রত্যক্ষ উপস্থিতি তাকে জনগণের ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে অভিষিক্ত করেছে। তার স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য ‘বেগম সুফিয়া কামাল হল’ নির্মাণ করে। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, কবি বেগম সুফিয়া কামালের জন্মদিনে তাঁর জীবনদর্শন ও সাহিত্যকর্ম প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পাঠকের হৃদয় আলোকিত করবে।


বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আগামীকাল বিকাল ৪টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুফিয়া কামালের জন্ম-বার্ষিকী উপলক্ষে স্মারকবত্তৃতা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ‘সুফিয়া কামাল ও নারীবাদী আন্দোলন’ শীর্ষক স্মারক বত্তৃতা প্রদান করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন। কবি সুফিয়া কামাল সম্মাননা প্রদান করা হবে বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ইফফাত আরা দেওয়ানকে।

বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সুফিয়া কামালের ছিল আপোষহীন এবং দৃপ্ত পদচারণা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর সুফিয়া কামাল পরিবারসহ কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং এই আন্দোলনে নারীদের উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন।


পাকিস্তান সরকার ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করলে তার প্রতিবাদে সংগঠিত আন্দোলনে তিনি জড়িত ছিলেন এবং তিনি ছায়ানটের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা দেন। স্বাধীন বাংলাদেশে নারী জাগরণ ও নারীদের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন।


সাঁঝের মায়া, মন ও জীবন, শান্তি ও প্রার্থনা, উদাত্ত পৃথিবী ইত্যাদি তার উল্লে¬খযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। এছাড়া সোভিয়েতের দিনগুলি এবং একাত্তরের ডায়েরি তার অন্যতম ভ্রমণ ও স্মৃতিগ্রন্থ। সুফিয়া কামাল দেশ-বিদেশের ৫০টিরও বেশি পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার, সোভিয়েত লেনিন পদক, একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ও স্বাধীনতা দিবস পদক।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL