সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
সিলেট নগরীর শামীমাবাদ, কানিশাইল ও আখালিয়া ঘাট এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মধ্যরাতে। দিবাগত রাত ১টার দিকে এসব এলাকার মসজিদের মাইকে ডাকাত প্রবেশের কথা জানিয়ে সবাইকে সচেতন থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়।
ওই সময় মানুষের চিৎকার-চেচামেচির শব্দ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।মসজিদে মসজিদে মাইকিংয়ের পর সিলেট নগরীর বেশিরভাগ এলাকার মানুষ লাঠিসোঁটা, পাইপ, রড নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। অপরিচিত কাউকে পেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।সিলেট নগরীর মধুশহীদ এলাকার বাসিন্দা সোহেল আহমেদ বলেন, আমরা ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। মসজিদে মাইকিংয়ের পর আমাদের এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে আমাদের এলাকার যুবসমাজ ও মুরব্বিরা মিলে এলাকায় পাহারা বসাই।
একই অবস্থা দেখা যায়, নগরীর ভাতালিয়া এলাকায়। সেখানকার বাসিন্দাদের দেখা যায় বাঁশ হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে। এলাকার বাসিন্দরা জানান, আমরা আত্মরক্ষার্থে মধ্যরাতে রাস্তায় লাঠি হাতে পাহারা দিচ্ছি। এমনিতেই বন্যা আমাদের ক্ষতি করে দিয়েছে। তারমধ্যে যদি ডাকাতরা হানা দেয় তাইলে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না। তাই রাতে না ঘুমিয়ে পাহারা দিচ্ছি।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বিভিন্নজনকে সিলেটে ডাকাতির ঘটনায় পোস্ট দিতে দেখা গেছে।
নাইমুল ইসলাম মাহিন নামের একজন পোস্ট দিয়েছেন, ‘সিলেটের তেমুখী সাহাবের গাওয়ে প্রচুর ডাকাত আক্রমণ করেছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাবের সহযোগিতা কামনা করছি।’
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে এসেছি। কেউ আতঙ্কিত হবেন না, পুলিশ মাঠে আছে। রাত সোয়া ৩টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোথাও ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। আপনারা চোখ-কান খোলা রাখবেন। আমরা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা আপনাদের সেবায় নিয়োজিত আছি। কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানাবেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে আপনাদের পাশে আছি।