সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
এক পাপিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও সমাজে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হাজারো পাপিয়া।যারা মাদক ব্যবসা, দেহ ব্যবসা,চুরির সেন্ডিগেইটে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশের দৃষ্টির বাহিরে।এমনি নারায়ণগঞ্জ জেলার এক পাপিয়া হচ্ছে ইতি ওরফে (বুচি)।
মাদক ব্যবসা, দেহ ব্যবসা,চুরির সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকার পাশাপাশি নিজেকে পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচয় দেয়।
জানা গেছে, নারী-পুরুষসহ শক্তিশালী একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র গড়ে তুলেছে ইতি ওরফে বুচির। কমপক্ষে ১০/১২ জন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে এ চক্রের। এ চক্রটি পাইকারী ও খুচরা ভাবে গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট এবং হেরোইন বিক্রি করে থাকে। পাইকাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গাঁজা, হেরোইন ও ইয়াবার বড় বড় চালান ইতির কাছে পৌঁছে দেয়।
গোপন সূত্রে জানা যায়,ইতি ওরফে বুচি নিজে কক্সবাজার ও মায়ানমার থেকে ইয়াবা বহন করে নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় প্রেরন করে থাকে।
তারপর ইতি ওরফে বুচি ফতুল্লা থানার বিভিন্ন খুচরা মাদক বিক্রেতাদের কাছে তা সরবরাহ করে। পাইকারী বাদেও ইতি ওরফে বুচি তার বাহিনী দিয়ে খুচরা ভাবেও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসনের একশ্রেণীর অসাধু অফিসার ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে ইতি মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সূত্রটির দাবি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জেলা গোয়েন্দা ও ফতুল্লা থানা পুলিশ মাদকদ্রব্যসহ একাধিকবার ইতি ওরফে (বুচিকে) গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
যতবারই সে গ্রেফতার হয়েছে ততবারই কিছুদিন পর আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে মাদক ব্যবসা অব্যাহত রাখছে। কিছুতেই সে মাদক ব্যবসা বন্ধ না করায় এলাকার পরিবেশ ও যুবসমাজকে রক্ষা করতে স্থানীয় পঞ্ছায়েত কমিটির লোকজন বুচিকে নিয়ে দুঃশ্চিতায় ভুগছেন।তার পরও এই মাদক সম্রাজ্ঞী তার মাদক ব্যবসা বন্ধ করছেনা।
গত কয়েক মাস ধরে সে চানমারি এলাকায় নতুন কৌশলে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই মাদকের বিষাক্ত ছোঁঁবল থেকে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও যুবসমাজকে রক্ষা করতে ইতি ওরফে (বুচির) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও র্যাব-১১ বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।