সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
দিনদিন বেড়েই চলছে বরফকল ঘাটের কিশোর গ্যাং দের দৌরাত্ম্য । দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বরফ কল ঘাটের কিশোর গ্যাং এর উপর।কিশোর গ্যাং অপরাধ আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে। তবে দিন যত যাচ্ছে তাদের অপরাধগুলো ক্রমেই হিংস্র, নৃশংস ও বিভীষিকাপূর্ণরূপে দেখা দিচ্ছে।
যার ফলে প্রতিনিয়ত বরফকল ঘাটে নদী পারাপার হওয়া মানুষ চুরি, ছিনতাই ও ইভটেজিংয়ের সম্মুখিন হচ্ছে।
শুধু ঘাট পারাপার হওয়া মানুষ ই নয় ঘাটের ঠিক পাশেই চৌরাংঙী পার্কে ঘুরতে আসা পর্যটক ও স্বীকার হচ্ছে চুরি ছিনতাই ও ইভটিজিং এর মত জঘন্যতম অপরাধে।
খুন, ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার মতো হিংস্র ধরনের অপরাধ করার প্রবণতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে এবং এখনো বেড়েই চলেছে।
সংঘবদ্ধভাবে প্রকাশ্যে দিনের আলোয় নৃশংসভাবে খুন করা হচ্ছে। পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষার লক্ষ্যে এখনই এর লাগাম টেনে ধরা দরকার। না হলে ভবিষ্যতে এটি খুব ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
গত ৩-৪ দিন আগে ও দুইজন সাংবাদিক ঘাট পারাপার হওয়ার সময় কিশোর গ্যাং বাহিনীর হামলার স্বীকার হয়। এইসময় তারা প্রায় ২০/২৫ জন একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী লাঠি-শোঠা নিয়ে দুই সাংবাদিকের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এতে এই দুইজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হন।
যেখানে কোন সাংবাদিককর্মী নিরাপদ নয় সেখানে সাধারন জনতার কি বেহাল পরিনতি হতে পারে তা দুইজন সাংবাদিকের উউপর হামলার পরই স্পষ্ট বুজা যায়।
কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বৈশিষ্ট্য এক্ষেত্রে কিশোরদের বয়সটা জানা বেশি জরুরি। কারা কিশোর গ্যাংয়ে যোগ দিচ্ছে বা কত বছর বয়সে।
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, এদের বয়সসীমা ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যেই বেশি হয়ে থাকে। কী করে বুঝবেন যে এরা কিশোর গ্যাংরে সঙ্গে যুক্ত আছে? সাধারণত প্রতিটি গ্যাংয়ের দৃষ্টি আকর্ষিত হয় এমন একটি নির্দিষ্ট নাম ও লোগো থাকে। গ্যাং সদস্যদের মধ্যে সেই নাম ও লোগো শরীরে ট্যাটু করার অথবা দেয়ালে লিখনের প্রবণতা রয়েছে।
প্রশাসনের নিকট ঘাটের দুকানদার এবং পার্ক কর্তৃপক্ষের একটাই দাবী যাতে অতি শীঘ্রই বরফকল ঘাটের কিশোর গ্যাং নির্মূল করা হয়।
এব্যাপারে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত অফিসার মোঃ সাইদুজ্জামান জানান অতিদ্রুত এইসব কিশোর গ্যাং এর উপর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং প্রশাসন সার্বক্ষণিক এদের উপর নজর রেখে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।