সকাল নারায়ণগঞ্জ:
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক হোসেন ও মেরাজুল ইসলাম সোহাগের ওপর হামলা করে ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আসামীর স্বজনদের বিরুদ্ধে।
শনিবার দুপুরে রূপগঞ্জের যাত্রামূড়া এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান। ঘটনায় ২০ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও সকাল ৯টা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছিনিয়ে দেওয়া আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় আহত সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক হোসেন রোববার সকালে বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ভারগাঁও গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মো. আমিনের বিরুদ্ধে একটি মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী মো. আমিনের অবস্থান জানতে পারে পুলিশ। পরে সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক হোসেন ও মেরাজুল ইসলাম সোহাগ সাদা পোষাকে শনিবার দুপুরে কাঁচপুর সিনহা ওপেক্স গার্মেন্টের সামনে অভিযান চালিয়ে মো. আমিনকে গ্রেপ্তার করে দেহ তল্লাসী করে। তল্লাসী শেষে পুলিশ ভ্যানে উঠানোর সময় কৌশলে আমিন ভ্যান থেকে পালিয়ে যায়।
পরে ধাওয়া করে পার্শ্ববর্তী রূপগঞ্জ উপজেলার যাত্রামূড়া এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের সামনে থেকে আমিনকে পুনরায় গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মো. আমিনের নেতৃত্বে তার স্বজন হাফিজউদ্দিন, বিনা বেগম, আছমা বেগম, আউয়াল, শরীফ আরমানসহ ১০-১২জনের একটি দল লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এসময় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় হামলাকারীরা একটি ওয়াকিটকি ওয়ারলেস, ইস্যুকৃত ওয়ারেন্টের কাগজ ও দুটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত পুলিশ কর্মকর্তা মেরাজুল ইসলাম সোহাগের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা গ্রহন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ছিনিয়ে নেওয়ার আসামীসহ ওয়াকিটকি ওয়ারলেস, ইস্যুকৃত ওয়ারেন্টের কাগজ ও মোবাইল সেট উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।