সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
ফতুল্লায় জ্বিন দিয়ে চিকিৎসা করে রোগমুক্ত করার আশ্বাস দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মোঃ নুর আলম (৩৫) নামক এক ভন্ড কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে তাকে ফতুল্লার মাসদাইর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে প্রতারিত নারী গার্মেন্টস শ্রমিক মাসদাইর খানকা মোড়ের গিয়াসের ভাড়াটিয়া আমিনুল ইসলামের মেয়ে মোসা. রিক্তা বেগম (৩৪) বাদী হয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারনার অভিযোগ এনে গ্রেপ্তারকৃত কবিরাজ নুর আলমের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত নুর আলম রংপুর জেলার তারগঞ্জ থানার কুটিপাড়ার মৃত রজব আলীর পুত্র ও ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর জামালের গ্যারেজ সংলগ্ন মহিউদ্দিনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদী মাসদাইর ফারিয়া গার্মেন্টসে চাকুরী করে। সে শরীর ব্যথা, জ্বর, শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো দাগ, জ্বালা পোড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত। গার্মেন্টসের সহকর্মীদের নিকট থেকে জানতে পারেন গ্রেপ্তারকৃত কবিরাজ নুর আলম এ সকল রোগের চিকিৎসা করে থাকেন।
সে তার চিকিৎসার জন্য ২৯ মে কবিরাজের নিকট চিকিৎসা নিতে যায়। সেখানে গেলে কবিরাজ তাকে জানায় জ্বিনের মাধ্যমে তার চিকিৎসা করা হবে। আর তার জন্য ৫ হাজার টাকা লাগবে। সে তৎক্ষনাৎ কবিরাজকে আড়াইহাজার টাকা প্রদান করে।
পরবর্তীতে একদিন পর (৩০ মে) সন্ধ্যায় কবিরাজের নিকট গেলে জানায় যে রাতে জ্বিন দিয়ে চিকিৎসা করাবে। এ জন্য ২ টি কবুতর,৭টি কলা, শরিষা, পানির বোতল, কাঁচা পেপে, সোনামুখি সুইসহ আনুসাঙ্গিক বিভিন্ন জিনিস লাগবে। এতে খরচ হবে এক হাজার পাঁচশত টাকা।
রাত সাড়ে এগারোটার দিকে জ্বিন দিয়ে চিকিৎসা করার কথা বলে কবিরাজের নিজ ঘরে পানির সাথে চেতনানাশক কিছু একটা সেবন করিয়ে তাকে অচেতন করে মারধর সহ ঝাড়ফুক করে। রাত একটার দিকে বাদী ঘুম থেকে উঠে পুরো শরীর ব্যথা অনুভব করে।
বিষয়টি কবিরাজকে জানালে দু-একদিনে মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে আশ্বস্ত করে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। কিন্ত শরীরের অবস্থা আরো বেশী অবনতি হলে পুনরায় কবিরাজের নিকট গেলে সে কিছু কবিরাজি ঔষধ দেয়। এতেও সে সুস্থ হওয়ার পরীবর্তে আরো বেশী অসুস্থ হয়ে পরে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক সোহাগ সাহা জানান, মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত কবিরাজ কে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।