সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (জান্নাত):
মৎস্য আইন অনুসারে ১২ ইঞ্চির নীচে (৩০ সেন্টিমিটার) পাঙ্গাস ধরা নিষিদ্ধ। চাঁদপুর মেঘনা ও পদ্মার সংযোগস্থল দেশীয় পাঙ্গাস পোনার অন্যতম বিচরণ ক্ষেত্র।
চলমান জাটকা মওসুমের বর্তমান সময়টা নদীর পাঙ্গাসের পোনা বেশি দেখা যায়।
নারায়নগঞ্জ শহরের ৩ নং মাছ ঘাট এলাকায় মোঃ ইদ্রিসের আড়তে এই অবৈধ মাছ বেশ কিছুদিন যাবৎ বিক্রি চলছে।অন্যদিকে মোঃ রশিদের নেতৃত্বে বাজারে জাটকা,টেগা পাঙ্গাস সহ অন্যান্য সকল অবৈধ মাছ বাজারে প্রবেশ করছে।
গোপনসূত্রে জানা যায়, ৩ নং ঘাটে যখন যেই ধরনের অবৈধ মাছ প্রবেশ করে যেমন জাটকা,টেম্পো ইলিশ,টেগা পাঙ্গাস ও পাঙ্গাসের পোনাতখন রশিদ পুলিশ প্রশাসন কে ব্যবস্থা করে বিভিন্ন মানুষের নাম করে টাকা উঠায়।
বেশ কিছুদিন আগে রশিদ অবৈধ মাছ ব্যবসায়ের দায়ে দেড় লাখ টাকা জরিমানাও দেন।
কিন্তু একশ্রেণির লোভী জেলে এবং মৎস্য ব্যবসায়ি মেঘনা নদীর পাঙ্গাসের পোনাগুলো বড় হবার সুযোগ দিচ্ছে না। বিভিন্নস্থানে অবৈধভাবে জাঁকে জাঁকে পাঙ্গাসের পোনা নিধন করছে।
বাঁশের তৈরি ছোট বড় চাঁইয়ের মাধম্যে মূলত নির্বিচারে পাঙ্গাসের পোনা ধরা হচ্ছে। এ কারণেই সুস্বাদু এবং মূল্যবান এ মাছটি হারিয়ে যেতে বসেছে। নদীর ছোট ছোট পাঙ্গাস মাছের পোনা এখন প্রকাশ্যে গ্রামের হাট-বাজার থেকে শুরু করে শহরে বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় সাধারণ জেলে ও সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, নদীতে ছোট ফাঁসের জাল, মশারি জাল, গছিজাল, বাধাজাল, চাঁই, চায়না চাঁই অবাধ ব্যবহারে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন, বংশবিস্তার ও বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে।
চাঁদপুরের নদ নদীতে নিষিদ্ধ সময়,অবৈধ জালে যেভাবে ইলিশসহ বিভিন্ন মাছের পোনা হত্যা চলছে, এতে অচিরেই মাছের ভান্ডার শূন্য হয়ে পড়বে।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরদারি এবং তৎপরতা বাড়ানো দরকার। নদীর পাঙ্গাস পোনা নিধন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে নৌ-ফাড়ির অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান,অবৈধ মাছ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং পুলিশের টহল আরো বাড়ানোর জন্য জোর দেয়া হবে।