সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
ভোজ্যতেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে আজ বিকাল ৫ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লবের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ জেলা কমিটির সদস্য গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, বাসদ ফতুল্লা থানার সদস্যসচিব এস এম কাদির, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম জেলার সংগঠক সুলতানা আক্তার।
নেতৃবৃন্দ বলেন, খাদ্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বি, সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এরই মধ্যে ভোজ্যতেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন লিটার প্রতি ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা, পাম অয়েল লিটার প্রতি ৪২ টাকা বাড়িয়ে ১৭২ টাকা করা হয়েছে। ঈদের আগে থেকেই অসৎ ব্যবসায়ীরা তেল মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে।
ঈদের পরে সয়াবিন তেল প্রায় বাজার শূণ্য হয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক বাজারের সংকটের নামে দাম বাড়ানো হবে, এটা শোনার পরই এই অসৎ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা তেল মজুদ করে। আর সরকারের ঘোষণার পর আগের সয়াবিন তেল, পাম অয়েল নতুন দামে বিক্রি করা হচ্ছে। বোতল থেকে পূর্বের দাম মুছে বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ মজুদ করা আইন বিরোধী। নিয়ম মোতাবেক যে তেল পূর্বে বাজারে এসেছে তা পূর্ব দামেই বিক্রি হবে। নতুন আমদানীকৃত তেলই কেবল নতুন দামে বিক্রি হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বাজার সরবরাহে সংকট তৈরি হতে পারে এটা বহু আগেই অনুমান করা গেছে। তা মোকাবিলায় সরকারের কোন পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না। দাম নিযে মজুদদার ব্যবসায়ীদের কারসাজি নিয়েও সরকারের তদারকি বা আইনগত কোন ব্যবস্থা নিতে আমরা দেখি নাই। বাস্তবে লুটপাটকারী ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার ব্যবস্থা করে দেয়াই সরকারের কাজ হয়েছে দাঁড়িয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। নিত্য পণ্যের ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট সরকার ভাঙতে পারেনি। টিসিবির মাধ্যমে যে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এতে খুব সামান্যই সাশ্রয় হচ্ছে গরিব মানুষদের। তাও লাইনে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়েও পাওয়া যায় না।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ভোজ্যতেলের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার, সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া, সকল খাদ্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা এবং গ্রাম ও শহরের গরিব মানুষকে আর্মি রেটে রেশন দেয়ার দাবি জানান।