সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন রসূলবাগ ও ঢাকার সাভার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধার ও এই কাজে জড়িত অপহরণ চক্রের ৩ সদস্য ও এক ভুয়া কাজীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. সাগর হোসেন (১৯), মো. ফয়সাল (১৯) ও নূরনবী রনি (২২) ও ভুয়া কাজী মো. আল-মামুন (৩৭)।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আদমজীনগর র্যাব-১১ এর কার্যালয় থেকে র্যাব-১১ এর এএসপি মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি আসামী মো. সাগর হোসেন ও মো. ফয়সালের সহযোগীতায় স্কুলের সামনে থেকে ওই কিশোরীকে অপহরণ করে ঢাকার সাভার আসামী মো. নূরনবী রনির সাথে পাঠিয়ে দেয়। পরে ভূয়া কাজি মো. আল-মামুন তাকে ধর্মান্তর করে রেজিষ্টারী কাবিননামা ও ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন।
ভিকটিম জানান, কাজী সাহেব তাকে বলে তুমি ধর্মান্তরিত হয়ে গেছ এবং তোমার বর্তমান নাম ফাতেমা। মো. নূরনবী রনি ও তুমি বর্তমান স্বামী স্ত্রী। পরবর্তীতে বিবাহের কাগজপত্র উদ্ধারের নিমিত্তে র্যাব সদস্যরা কথিত কাজী মো. আল-মামুন(৩৭) এর অফিস ঢাকা জেলার সাভারের কর্ণপাড়া৬২/৪ এ অবস্থিত কাজী অফিস কক্ষে (উলাইল বাজার এর উত্তর পার্শ্বে আল-মুসলিম গার্মেন্টস এর পশ্চিমে) অভিযান পরিচালনা করে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে কাজী স্বীকার করে, তিনি প্রতারণার উদ্দেশ্যে ‘কাজী’র ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের জন্মসনদ এডিটিং করে বয়স বাড়িয়ে ভূয়া বিবাহ পড়িয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে। এরই ধারাবাহিকতায় এফিডেভিট মূলে ধর্মান্তরকরনের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ভূয়া জন্মনিবন্ধনের কাগজ প্রস্তুত করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করিয়ে আসামী মো. নূরনবী রনি (২২) ভিকটিমকে ধর্ষণের সহায়তা করেন।
গ্রেফতাররকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।