সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেছেন, আমরা জানি যে কয়েকটি মন্ডপে ঝামেলা আছে। গতবার আমি নিজে কথা বলে লক্ষী নারায়ণ মন্দির নিয়ে দিয়েছিলাম। এবারও বলবো কোনো সমস্যা হবে না।
তবে যেটা বেশি প্রয়োজন সেটা হলো নিরাপত্তা। নিরাপত্তা আমাদের মূল। যদি আমার বা আপনার নিরাপত্তার ঘাটতির কারণে কোনো একটি মন্ডপে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে আর সেখানে যদি কেউ মারা যায় তাহলে আমি মনে করি এর দায় আমার, আপনাদের এবং ঐ পূজা কমিটির। সুতরাং সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
রবিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস হলে দুর্গোৎসব উপলক্ষে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এর পাশাপাশি আপনাদের পক্ষ থেকে প্রতিটি পূজা মন্ডপে সিসিটিভি এবং মেটাল ডিটেক্টর রাখবেন। আশা করি কারও কোনো সমস্যা হবে না। দিনের আলো থাকতে থাকতে আপনারা প্রতিমা বিসর্জন দিবেন।
কেউ যদি দিনের আলোর পরে প্রতিমা বিসর্জন দেন আর সেখানে যদি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা ধরে নিবো ঐ মন্দির কর্তৃপক্ষ পূজা আয়োজন করেছে সরকারকে বেকায়দায় ফালানোর জন্যে। তাদের সাথে ৩য় পক্ষের যোগযোযোগ আছে।
সুতরাং আপনারা দয়া করে দিনের আলোতে প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে দিবেন। তা নাহলে কোনো কিছু ঘটলে তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট কমিটিকে নিতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ সার্কেল) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘খ’ সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুন দাস, সাধারণ সম্পাদক উত্তম সাহা, ফতুল্লা থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রঞ্জিত মন্ডল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিশির ঘোষ অমর প্রমুখ।