সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
বাসদ নেতা ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ এর নামে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং বাসদ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কার্যালয়ে হামলা ও অফিস ভাংচুর. লুটপাটকারী চাঁদাবাজ ঝুটসন্ত্রাসী সুমন, জুয়ারি জাহাঙ্গীরসহ সকল সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ বিকার ৫টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশ ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লবের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক নিখিল দাস, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, বাসদ সোনারগাঁ উপজেলার সমন্বয়ক বেলায়েত হোসেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি এম এ মিল্টন, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এস এম কাদির, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক মেহেদী হাসান।
নিখিল দাস বলেন, নারায়ণগঞ্জে গার্মেন্টসসহ শ্রমিকদের যেকোন সঙ্কটে যে নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের পাশে দাড়িয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেয় তাদের স্তব্ধ করার জন্যই আজ শ্রমিক নেতা বিপ্লব, সেলিম, শরীফের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় শ্রমিক ফ্রন্ট ও বাসদ সদর উপজেলা কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। থানায় মামলা দেয়া হলেও কোন অদৃশ্য কারণে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করছে না। পুলিশের নির্বিকার ভূমিকার সুযোগেই সন্ত্রাসী চক্র নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেয়ার সাহস করেছে। প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষে উচিৎ অবিলম্বে ঝুট সন্ত্রাসী সুমন, জুয়ারি জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় মাসদাইর চৌধুরী কমপ্লেক্স এলাকায় অবস্থিত বাসদ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কার্যালয়ে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভা চলাকালে ঝুটসন্ত্রাসী সুমন ও জুয়ারী জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন সন্ত্রাসী অফিসে প্রবেশ করে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক ও গাবতলী পুলিশ লাইন শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম শরীফের কাছে ৭ লাখ টাকা ও জুয়ারি জাহাঙ্গীর ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে শরীফকে হত্যা করবে এবং অফিস উচ্ছেদ করবে বলে হুমকি দেয়। শরীফ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সন্ত্রাসীরা শরীফসহ উপস্থিত নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালায় এবং এলোপাথারী মারধর করে ও অফিসের ভিতরে ভাংচুর চালায়। এতে মারাত্মক আহত রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক মেহেদী হাসানসহ কমপক্ষে ১০ জন শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা-কর্মী আহত হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ঝুটসন্ত্রাসী সুমন ও জুয়ারি জাহাঙ্গীর বিএনপি-জামাতের শাসনামলে মাসদাইর-গাবতলী এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ছিল। সুমনের নামে বহু সন্ত্রাসী মামলা আছে, বিভিন্ন মামলায় জেল খেটেছে এবং এলাকায় মাদকের সাথে যুক্ত। জাহাঙ্গীর ইন্টারনেট জুয়ারিচক্রের সাথে জড়িত এবং চাঁদাবাজিসহ এলাকায় নানা অপকর্মের সাথে যুক্ত। সুমন ও জাহাঙ্গীর বর্তমানে মুখোশবদল করে চাঁদাবাজিসহ তাদের অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রশাসনের নির্বিকার ভুমিকার কারণেই এসব সন্ত্রাসীরা আজ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বাসদ অফিসে হামলার পর মামলা হলেও অদৃশ্য কারণে পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। সন্ত্রাসী সুমন ও জাহাঙ্গীর প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আমাদের সংগঠনের কর্মীদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশের নির্বিকার ভূমিকার সুযোগ নিয়ে সুমন ও জাহাঙ্গীর পৃথকভাবে সমাজাতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফের নামে কোর্টে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ২টি পৃথক মিথ্যা মামলা দিয়েছে। নেতৃবৃন্দ বাসদ নেতাদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার ও বাসদ অফিসে হামলাকারী সুমন ও জাহাঙ্গীরসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেন।
বার্তা প্রেরক
রুহুল আমিন সোহাগ