সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)।
‘শোক থেকে শক্তি, শোক থেকে জাগরণ’ শ্লোগানে রোববার (১৫ আগষ্ট) বিকালে রাজধানীর মগবাজারে পুনাক কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা।
পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকে জাতির জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায় এবং পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে পৈশাচিক ও নারকীয় রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শুধু একটি পরিবারকেই নিশ্চিহ্ন করা হয়নি, বরং যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি নবীন রাষ্ট্রের এক অসাধারণ পথচলাকেও থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন স্বপরিবারে খুন হন তখন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে অন্য অনেকেই উপস্থিত থাকলেও বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন পুলিশের এক অকুতোভয় সদস্য এএসআই সিদ্দিকুর রহমান। তিনি সেদিন নিজের জীবনের পরোয়া না করে বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে ঘাতকদের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন।
পুনাক সভানেত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের কালরাতে যেমন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলেছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের বীর পুলিশ সদস্যরা। বাংলাদেশেকে স্বাধীন করতে পুলিশ সদস্যরাই সর্বপ্রথম বুক পেতে দিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বুলেটের সামনে। তিনি বলেন, পুলিশ হচ্ছে সেই সংগঠন যার সদস্যরা কখনো এ দেশের সাথে, এ দেশের ইতিহাসের সাথে বেঈমানি করেনি।
এএসআই সিদ্দিকুর রহমানের এ অসামান্য আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালে তাঁকে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক
বিপিএম সাহসিকতা (মরোণোত্তর) প্রদান করেন। এ মহতি উদ্যোগের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান পুনাক সভানেত্রী।
অনুষ্ঠানে পুনাকের অন্যান্য নেত্রীবৃন্দও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
এর আগে দোয়া মাহফিল শেষে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।