সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য দায়ী মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুযায়ী নিহতদের আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসা, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে আজ বিকাল ৫ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের জেলার অন্যতম নেতা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লবের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও স্কপের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কামরুল আহসান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব বুলবুল, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমন্বয় সম্পাদক ফিরোজ হোসাইন, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিকাম দত্ত, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট মন্টু ঘোষ, জাতীয় শ্রমিক লীগের জেলার সহ—সভাপতি মোখলেছুর রহমান, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নেতা হাফিজুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের জেলার সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সৈয়দ হোসেন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের জেলার নেতা গোলাম মোস্তফা সাচ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত হাসেম ফুড লিমিটেডে গত ৮ জুলাই উৎপাদনের কার্যক্রম চালু থাকা অবস্থায় অগ্নিকান্ড হয় এবং ৫২ জন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করে। ঘটনার পর মালিকসহ ৮ জন কারখানার কর্মকতার্ গ্রেফতার হয়। পরবতীর্তে মালিক ও তার সন্তানদের জামিন দেয়া হয়।
নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করে সরকারের পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা হয়েছে। ইতিমধ্যে নিহত অনেককে তা দেয়া হয়েছে। এধরণের মৃত্যুর ঘটনায় এটা খুবই অপ্রতুল।
স্কপসহ শ্রমিক ফেডারেশনগুলোর দাবি ছিল আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুযায়ী আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ প্রদান করা এবং এই ঘটনার জন্য দায়ী মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। জেলা প্রশাসনের তদন্তেও বের হয়ে এসেছে এঘটনায় মালিক ও এর জন্য সরকারের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তরের দায় আছে।
নেতৃবৃন্দ এটাকে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন মামলার ফাঁকফোকড়ে যেন মালিক এবং সংশ্লিষ্টরা রক্ষা না পায় এজন্য সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আজ বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তদন্ত ও মামলার অগ্রগতির নিয়ে আলোচনা করেন। দেশে যাতে এধরণের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য মালিকসহ দায়ী সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বার্তা প্রেরক—
রুহুল আমিন সোহাগ