হাটহাজারী থেকে একজন মুসল্লী বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে তার এলাকার একটি ঝুঁকিপূর্ণ মসজিদ ভবনের কথা লিখেন।
তিনি জানান, মসজিদটি হাটহাজারী থানার খিল্লাপাড়ায় অবস্থিত। মসজিদটি দোতলা করার কথা থাকলেও এটি ঝুঁকিপূর্ণভাবে করা হয়েছে তিন তলা। কোনো ফাউন্ডেশন বা ভিত্তি ছাড়াই তোলা হয়েছে মসজিদটি। নীচতলা ৪৫০ বর্গফুটের হলেও দোতলা থেকে দুই দিকে বাড়িয়ে ৯০০ থেকে ১০০০ বর্গফুট করা হয়েছে। আরো আশংকার বিষয় হচ্ছে কয়েকদিন আগে তিন তলার ছাদ ঢালাই করা হয়েছে। তথ্যদাতা আশঙ্কা করেন, যে কোনো মুহূর্তে মসজিদটি ভেঙে পড়ে মুসল্লীদের প্রাণহানি ঘটতে পারে। তিনি দাবী করেন, এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি অনুমোদিত নকশা বা কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মসজিদটিকে অপরিকল্পিত ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে রেখেছেন। সেই পরিবারের লোকজন নিয়মিতভাবে মসজিদের মধ্যে তাদের পারিবারিক ও ব্যবসায়িক সভা-সভাবেশও করে থাকেন।
বার্তাটি পেয়ে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ওসি হাটহাজারী মো. রফিকুল ইসলামকে তা প্রেরণ করে জীবন ও সম্পদের সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে অতিসত্ত্বর বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনা পেয়ে ওসি হাটহাজারী সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমূহের সাথে যোগাযোগ করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সাথে নিয়ে মসজিদটি পরিদর্শন করেন। প্রাথমিক তদন্তে প্রতীয়মান হয় মসজিদটি তৈরীতে কোনো প্রকার অনুমোদিত নকশা অনুসরণ করা হয়নি এবং মসজিদটি ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাড়ানো হচ্ছিল। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রকোশলীর সহায়তায় এ বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ওসি হাটহাজারী। এছাড়া, মসজিদকে যেনো অপরাধমূলক কোনো কাজে ব্যবহার না করা হয় তা নিশ্চিত করতেও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।