সকাল নারায়ণগঞ্জ অনলাইন ডেস্কঃ
টোকিও অলিম্পিকে ইতিহাস গড়ে পদক জিতল মাত্র ৩৪ হাজার জনসংখ্যার দেশ স্যান ম্যারিনো।
বৃহস্পতিবার নারীদের শুটিংয়ের ট্র্যাপে ব্রোঞ্জ জিতেছেন দেশটির ক্রীড়াবিদ আলেসান্দ্রা পেরিল্লি। অলিম্পিকে স্যান ম্যারিনোর এটাই প্রথম পদক।
এমন বিস্ময়কর খবরে আলোচনায় এসেছে ১৮ কোটির বাংলাদেশ টোকিও অলিম্পিক থেকে কি অর্জন করেছে!
ছোট ছোট প্রাপ্তি থাকলেও পদকের খাতা একেবারেই শূন্য। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ এখনও অলিম্পিকে পদক জেতেনি। যদিও এ ব্যর্থতার গ্লানি আরো পাঁচ বছর আগে মুছে ফেলার সুযোগ হয়েছিল বাংলাদেশের। যদি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রাশান জিমন্যাস্ট মার্গারিতা মামুনকে নিজেদের করে দেখাতে পারত।
গত অলিম্পিকে রাশিয়ার হয়ে সোনা জিতেছিলেন এই রিদমিক জিমন্যাস্ট। গেমসের পঞ্চদশ দিনে ব্যক্তিগত অল-অ্যারাউন্ড ইভেন্টে তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও তার স্বদেশি ইয়ানা কুদ্রিয়াভৎসেভাকে হারান মার্গারিতা।
সে সময় মার্গারিতা লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব না করলেও ঠিকই মনে রেখেছিলেন বাংলাদেশকে। প্রতিযোগিতার পর এক বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবীর সমর্থনে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কারণ মার্গারিতা পারফর্ম করবে জেনেই সেখানে স্বেচ্ছাসেবার দায়িত্ব নিয়েছিলেন ওই বাংলাদেশি। মার্গারিতার সঙ্গে দেখা করতে তিন ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেছিলেন সেই স্বেচ্ছাসেবী যুবক।
জিমন্যাস্ট মার্গারিতা বুধবার নিজের ইনস্টাগ্রামে সেই স্মৃতিচারণ করলেন। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি লিখলেন, ‘এই বাংলাদেশি তরুণের (দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার নামটা জানি না আমি) সঙ্গে যখন আমার দেখা হয়েছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, আমি সেই জিমন্যাস্টিক সেন্টারে পারফর্ম করব জেনেই তিনি সেখানে স্বেচ্ছাসেবার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আর তিনি আমাকে সেবার প্রতিদিনই শুভকামনা জানিয়েছেন।
মার্গারিতা আরো লিখেন, ‘সেদিন পারফর্ম্যান্স, পুরস্কার প্রদান, অনেক বড় একটা সাক্ষাৎকার, ফটোসেশন, লম্বা একটা ডোপ টেস্টের পর প্রতিযোগিতাটা যখন শেষ হলো, তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে তখন। আর তখন প্রায় ফাঁকা হলরুমটা থেকে বেরিয়ে এসে তাকে দেখলাম, আনন্দিত আর উৎফুল্ল হয়ে সে এতক্ষণ ধরে আমার অপেক্ষা করছিল, সঙ্গে বাংলাদেশের একটা পতাকা নিয়ে। এত আমি কেমন অবাক হয়েছিলাম তা একবার ভাবুন? সে মুহূর্তেই আমি বুঝে গিয়েছিলাম, অনেক মানুষই আমাকে সমর্থন দিচ্ছে, যা আমি কল্পনাও করতে পারি না!’