সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক):
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের হার নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে ঈদের পর থেকে সর্বোচ্চ কঠোর লকডাউন চলছে। তারপরও কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না সাধারণ মানুষের আনাগোনা, ফলে স্বাভাবিকভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা।
যে কটি সেক্টরে কঠোর এ লকডাউন সর্বাত্মকভাবে মানা হচ্ছে তাতের মধ্যে গণপরিবহন অন্যতম। এ সময়ে কোনো গণপরিবহন চলাচল করতে না পারায় চরম কষ্টে জীবন-যাপন করছে পরিবহন শ্রমিকরা। আর তাই এসকল শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এলিট শ্রেণীর ক্লাব তথা ধনীদের ক্লাব হিসাবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডের সদস্যরা।
ক্লাবটির পক্ষ থেকে জেলার ১৬শ পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সহায়তা সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ জুলাই) সকালে একেএম শামসুজাজোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাইন বিল্লাহ।
এসময় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের পক্ষে ক্লাবটির সভাপতি তানভীর আহমেদ টিটু, সদস্য প্রথিতযশা সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বাদল, বন্ধন পরিবহন সংশ্লিষ্ট ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. জুয়েল হোসেন, শ্রমিকনেতা জিলানীসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শেষে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার লক্ষ্যে অনেক আগে থেকেই আমরা কাজ করছি। করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়েবের মতো এবারও নারায়ণগঞ্জ ক্লাব অসহায়দের সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছে তাই তাদেরকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। সমাজের উচ্চবিত্ত যারা আছেন তারা সবাই যদি এভাবে এগিয়ে আসেন তাহলে করোনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলো তাদের সকলের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানো সহজ হবে। তাই আমি আবারো সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তানভীর আহমেদ টিটু বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের পক্ষ থেকে অসহায়দের জন্য সবসময়ই কিছু না কিছু করতে চাই, অতীতেও করেছি, বর্তমানেও করছি, ভবিষ্যতেও করবো। এরই ধারাবাহিতকতায় আজ পরিবহন শ্রমিক ভাইদের জন্য আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। আমরা নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্যও কিছু করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান আমাকে বলেছেন, নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের তালিকা করে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিতে। কেননা তারা সম্মানজক পেশায় থাকার হাত পাতা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমরা তালিকা করছি, নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌছে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ্।