সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
বাংলা সাহিত্যের বিরল প্রতিভা। তার অনবদ্য সৃষ্টিগুলো বেশীর ভাগই রোমান্টিক প্রেম-বিরহ, দেশপ্রেম নিয়ে। লিখেছেন ছড়া, কবিতা ও ছোটগল্প। ইতিমধ্যে তার শত লাইনের কবিতা নীলাঞ্জনা, কিছুই বলা যাবে না, কি বলব তোমায়, মধুবালা, মাধবীলতা, সুরঞ্জনা রং বদলায়, ভালোবাসার যেন দুরের কবিতা, জ্যো¯œা ভরা রাত, মাঝরাতে ঘুম ভাঙে পাঠকের মাঝে ব্যাপক সারা ফেলেছে।
ভালোবাসা যেন দুরের কবিতা দিয়ে ১৯৯০ সালে রোমান্টিক কবিতা লেখা শুরু মাঝরাতে ঘুম ভাঙে কবিতা দিয়ে তার একশত রোমান্টিক কবিতা পূর্ণ হলো। আগামীতে লেখকের “মাঝরাতে ঘুম ভাঙে” কবিতার কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। এএসএম এনামুল হক প্রিন্স একজন রোমান্টিক কবি।
১৯৯০ সাল থেকে কবিতা লিখছেন ও নিয়মিত সাহিত্য চর্চা করছেন। সংবাদ মাধ্যমে তার হাজার কবিতা ছাপা হয়েছে। শিক্ষা জীবন বি.এ, বি.এড সম্পন্ন করেন। তিনি সাপ্তাহিক মুক্ত আওয়াজ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। তিনি স্থানীয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একাধিক সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহিত জড়িত রয়েছেন।
তিনি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কবির সাথে মুখোমুখি আলাপকালে বলেন, আমার লেখক জীবন বা কবি জীবন সেটা আমি উপভোগ করি এভাবে যে, অনেকেই যা পারেন না, তা আমি পারি। এটাতো আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিভা। পৃথিবীতে সাতশত কোটির উপরে বসবাস মানুষ। লেখার সৌভাগ্য সবার হয় না।
আমি যখন একটি ভালো কবিতা লিখতে পারি তখন আমার কারো সার্টিফিকেশনের দরকার হয় না। নিজেই বুঝতে পারি কবিতাটি ভালো হয়েছে। তখন নিজেই খুবই আনন্দিত হই এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে নত হই যে, তার দয়ায় আমি একটি ভালো কবিতা লিখতে পারলাম। আমি মনে করি মানুষ তার গন্তব্যের বাইরে যেতে পারে না। এটা আসলে নিয়তি নির্ভর। আমি কবি হয়েছি কিনা জানিনা। তবে কবি হওয়ার যে প্রক্রিয়ার মাঝে আমি আছি এটা আমার নিয়তিই আমাকে রেখেছে।
কথা সাহিত্যের মাধ্যমে একজন পাঠককে সবকিছু খোলাসা করে বলতে হয়। তাই আমি কবিতা বেশী উপভোগ করি। কবিতার কোন তুলনা নেই। কবিতার রহস্যময়তা আমাকে এখন পরমানন্দ দেয় যা আমি অনুভব করতে পারি কিন্তু হয়তো সেভাবে বর্ণনা করতে পারিনা। কবি ও লেখকের বিশাল দায়। কবিতা, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সবকিছুর মূলে মানুষের কল্যাণ, ভালোবাসা ও দরদ।
একজন কবি হয়ে সমাজের প্রতি দায়িত্ব থেকে আমি দুরে সরে যেতেও পারি না। তাই আমি মনে করি কবিতার মাধ্যমে আমরা সমাজের অসঙ্গতি সম্পর্কে মানুষকে জাগাতে সতর্ক করতে পারি। সৃষ্টি যদি প্রকৃত পক্ষে শিল্প হয় তাহলে কবি বা লেখকের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কিছুই নেই। কবির সৃষ্টিটাই হচ্ছে আসল। জীবনে সবকিছু হতে হলে একজন ভালো মানুষ হতে হবে।
তার কবিতা লেখার সংখ্যা পাঁচশতকের উপরে। তার উল্লেখযোগ্য রোমান্টিক কবিতা হলো মাঝরাতে ঘুম, ভাঙে, অবিশ্বাসী বলেই, বৃষ্টি ভেজা প্রেম, নিঝুম বালিকা, শূন্যতা, মুক্তির ছাড়পত্র, তুমি পাশে থাকলেই, স্বপ্নের শেষ অংক, স্বপ্ন বিলা, কিছুই দাও নি তুমি, বয়ে চলা নদী, অচেনা আমি, জ্যো¯œা ছুঁয়ে ছুঁয়ে, ফুসফুসে অন্তগামী বাতাস, তবুও তোমায় ভালোবাসি, ভালোবাসা যেন দুরের কবিতা, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ, অন্য রকম ভালোবাসা, নিঃশ্বাসে গোলাপের বৃষ্টি, তুমি স্পর্শ করলেই, মধুবালা, মাধবীলতা, কিছুই বলা যাবে না, জ্যো¯œা ভরা রাত, সুরঞ্জনা, সুরঞ্জনা রং বদলায়, আমার কষ্টের দরজা, ভালোবাসার পদচিহ্ন, এ কেমন প্রেম, মেঘ বালিকা, খুঁজে ফিরি, স্বপ্ন কাজল, আত্মার নির্বাসন, নীল জলের খেলা, নীল রং রক্ত, জিরো ডিগ্রী, নির্জন জলের রং, অশ্রæ বৃষ্টি, অন্য রকম অনুভূতি, চেনা প্রতিপক্ষ, বিপদ সীমা ছুঁয়েছে, স্মৃতি গুলো আছড়ে পড়ে, অশ্রæ সজল বেদনা, বিষ্মিত বৃষ্টিতে, প্রেম, নীল বেদনা, নির্জনতা, অমানিশা, স্বপ্নরা খেলা করে, অন্য কোন খানে কঠিন সমিকরণ, সূবর্ণ মোহর, স্বপ্ন, ধূসর শ্যাওলা, বিবর্ণ হৃদয়, আনন্দের স্ফুরন, শান্তির নিবাস, অন্তরের দাহ, স্মৃতি তারা করে, কশফুল, যন্ত্রনা বহর, নীল নীরবতায় তুমি, জ্যো¯œাময় চাঁদ, অচেনা ¯্রােত, বিষন্ন জ্যো¯œা, এক বিন্দু অশ্রæ কণা, বেদনার রং নীল, কষ্টের সীমানায়, হৃদয় পুড়ে বৃষ্টি, নিষিদ্ধ প্রেমলীলা, মৃদু বিষন্নতা, ভেসে গেছে স্বপ্ন, তোমাকেই চাই, একাকী জেগে, স্বপ্ন দেখা, স্বপ্নের আগুন, তুমি স্বপ্ন সাজাও, কার জন্য কষ্ট হবে, হৃদয়ে খেলা করে, জ্বলে পুড়ে ছারখার, তোমার জন্য, অনুভূতির রং, রঙিন পাতা, কষ্টে রব, স্বপ্ন সারথি, ভুল, ইচ্ছেগুলো, তুমিই সুরঞ্জনা, জ্যো¯œা ছড়ানো আলো। সব শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে খাপ খাইয়ে চলার যোগ্যতায় তিনি অনন্য। তিনি মেধাবী ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিচ্ছেন। জীবনীই ইচ্ছাশক্তি, লেখক হিসেবে অদম্য, অতুলনীয় ও অনন্য।