সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাশেম ফুড বেভারেজ কোম্পানির সিজান জুস কারখানায় আগুন লেগে ৫২ জন নিহত হয়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ধীরগতির অভিযোগ তুলে কারখানার শ্রমিকদের আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে। তাদের সড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় অবরোধকারীরা মিডিয়ার গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, আগুনে নিহত ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই তিন জন মারা গেছে বলে সনাক্ত হয়েছিলো। সব মিলিয়ে তাই ৫২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহত প্রত্যকের পরিবারকে লাশ দাফন কাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা ও গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য দশ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের কর্ণগোপ এলাকায় সেজান জুস নামে পরিচিত হাশেম ফুড কারখানায় আগুন লাগে। শুক্রবার (৯ জুলাই) সন্ধার আগ পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, শুক্রবার (৯ জুলাই) যেসব লাশ উদ্ধার হয়েছে তার প্রায় সবই এমনভাবে দগ্ধ যে সেগুলি আত্মীয়রা দেখে চিনতে পারছেন না। তাই এই মৃতদেহগুলি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে ডিএনএ টেষ্টের জন্য। ডিএনএ টেষ্টের মাধ্যমে এ লাশগুলি সনাক্ত করে আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ছয়-সাত হাজার শ্রমিক যে ভবনে কাজ করে সেখানে কমপক্ষে চারটি বড় আকারের সিড়ি থাকার কথা ছিলো। কিন্তু সেখানে এ ভবনে মাত্র দুইটি সরু সিড়ি ছিলো । আবার এ সিড়ির এক পাশে বিভিন্ন পণ্য স্তুপাকারে রেখে দেয়ায় এটি আরো সরু হয়ে গিয়েছিলো।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, সজিব কর্পোরেশনের হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকান্ডে অনেকগুলি প্রাণ ঝড়ে গেছে। এ ঘটনায় এক বা একাধিক মামলা হবে বলে তিনি জানান। মালিক যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে এ ব্যাপারে বিমান বন্দরসহ সব জায়গায়ই পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।