নারায়ণগঞ্জ সৈয়দপুর এলাকায় মোঃ কাশেম সম্রাটের সন্ত্রাস বাহিনী ব্যবসায়ী মোঃ ইয়াছিনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহতো করেন।এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় সন্ত্রাসী বাহিনী,মোঃ কাশেম সম্রাট (২৯), ২। ফয়সাল (২৮) উভয় পিতা-মোঃ দৌলত হোসেন, ৩। অরন্য (২২) পিতা-কামাল হোসেন, ৪। বিজয় (২৪) পিতা-আবুল মেম্বার সহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জন এর নামে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দুপুর ২ টায় নারায়ণগঞ্জ সৈয়দপুর এলাকায় অবস্থিত প্রিমিয়াম সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর সংলগ্ন মামা-ভাগিনা হোটেলের ভিতর এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ী মোঃ ইয়াছিনের ভাই মোঃ আল আমিন সাংবাদিকদের জানান, মোঃ কাশেম সম্রাট,ফয়সাল,অরন্য,বিজয় ওরা আমাদের এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে থাকে। আমার ছোট ভাই মোঃ ইয়াছিন (৩০) এলাকার বালুর ব্যবসা বাণিজ্যসহ ঠিকাদারী করে। মোঃ কাশেম সম্রাট প্রিমিয়াম সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর ওয়েষ্টিজের মালামাল বের করে। আমার ভাই বর্ণিত প্রিমিয়াম এর একটি কাজ পাওয়ায় মোঃ কাশেম সম্রাট ও তার সন্ত্রাস বাহিনী আমার ভাইকে জীবনে মেরে ফেলবে বলে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করে। আজ দুপুর অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় আমার ভাই মোঃ ইয়াছিন নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন চর সৈয়দপুর সাকিনস্থ ক্রাউন সিমেন্ট গেইট সংলগ্ন মামা-ভাগিনা হোটেলের ভিতর দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন লোকের হাতে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ নিয়ে আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১নং বিবাদী কাশেম এর হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে আঘাত করে আমার ভাই ইয়ছিন এর মাথার মাঝখানে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ২নং বিবাদী ফয়সাল এর হাতে থাকা কাঁচের বোতল দিয়ে আঘাত করে আমার ভাই ইয়ছিন এর মাথার উপর গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ৩নং বিবাদী অরন্য এর হাতে থাকা ধারালো সুইচ গিয়ার নিয়ে আঘাত করে আমার ভাইয়ের পিটে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ৪নং বিবাদী বিজয় এর হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে ঘাড়ে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখমসহ আমার ভাইয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা স্থূলা ও নিলাফুলা জখম করে। আমার ভাইয়ের সঙ্গে থাকা তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল সেট, যাহার মূল্য অনুমান ৫১০০০/- টাকা ও আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, যাহার মূল্য অনুমান ৩২০০০/-টাকা এবং নগদ ২,০০,০০০/-টাকা জোর করে ১নং বিবাদী কাশেম কেড়ে নেয়। আমার ভাইয়ের ডাক চিৎকারে আমার ভাই ইয়াছিন এর বন্ধু মোঃ মামুন (৩২) পিতা-আঃ সাত্তার মেম্বার, ও সাঈদ (৩৩) পিতা-হাশেম সরকার, উভয় সাং-পুরান সৈয়দপুর, থানা ও জেলা-নারায়ণগঞ্জদ্বয় এগিয়ে গেলে উপরোক্ত সকল বিবাদীরা মিলে তাদেরকেও মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে এবং মামুন এর সঙ্গে থাকা একটি মোবাইল সেট, যাহার মূল্য অনুমান ১৮,০০০/-টাকা জোর করে ২নং বিবাদী কেড়ে নেয়। তাদের ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে সকল বিবাদীরা যেকোন সময় আমার ভাইকে জীবনে মেরে ফেলবে বলে প্রকাশ্য হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন মিলে আমার ভাইকে গুরুতর জখম অবস্থায় ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। আমি বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে সংবাদ পেয়ে দ্রুত ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে এসে আমার ভাইকে উপরোক্ত জখম অবস্থায় দেখতে পাই এবং ঘটনার বিষয়ে আমার ভাইসহ তার বন্ধু এবং স্থানীয় লোকজনের নিকট থেকে বিস্তারিত জানতে পারি। আমার ভাইয়ের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার আমার ভাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আমার লোকজনের সহায়তায় আমার ভাইকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আমি আমার ভাইয়ের নিরাপত্তা চাই আর এলাকায় এ সকল শীর্ষ সন্ত্রাসীদের শাস্তি দাবি করছি।