সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান বলেছেন, মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি প্রমাণ করতে পারলে জীবনে রাজনীতি এবং জনপ্রতিনিধিত্ব করবো না।
সোমবার (২১ জুন) নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় দৈনিক সচেতন পত্রিকার লিড নিউজে‘‘ হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় ফেন্সিডিল, ইয়াবা বড়ি ও গাঁজা ২৩ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের মাদক ব্যবসা’’শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহাম্মদ দুলাল প্রধান। প্রেরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে তিনি উল্লেখ করেন,প্রকাশিত ওই সংবাদের একটি অংশে আমাকে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীণ। কেননা আমি কখনো মাদক ব্যবসায়ী ছিলাম না,বর্তমানেতো প্রশ্নই আসেনা এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজে লিপ্ত হওয়ার স্বপ্নও দেখিনা। কেননা আমি একজন নন্দিত জনপ্রতিনিধি। আমার ওয়ার্ডে পর পর ২বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। আমি মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকলে সচেতন জনগন আমাকে কোনক্রমেই বার বার নির্বাচিত করতেন না। মূলতঃ ২০১৯সালে রাজনৈতিক আক্রোশের জের ধরে একটি চক্র আমাকেসহ আমার গাড়ীর চালক,একজন প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার এবং যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসিয়ে দেয়। যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে অদ্যাবধি তা আমার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার বিষয়টি কোনভাবে প্রমাণিত হয়নি। সুতরাং এখানে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে সচেতন পত্রিকা কর্তৃপক্ষ মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করেছে পাশাপাশি সংবাদের কোথাও আমাকে আতœপক্ষ সমর্থণের সুযোগ দেয়া হয়নি যা কি না সংবাদপত্র নীতিমালা বর্হিঃভূত অর্থাৎ অপ-সাংবাদিকতার শামিল।
আমি প্রকাশিত ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করছি। বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদের পাশাপাশি বলতে চাই আমি ওসমান পরিবারের নীতি এবং আদর্শ অনুস্মরণ করে রাজনীতি করি। যারা ওসমান পরিবারের নীতি এবং আদর্শ অনুস্মরণ করে চলে তারা কখনো মাদক ব্যবসাতো দূরের কথা মাদকের সঙ্গে কোনভাবেই সম্পৃক্ত থাকার প্রশ্নই ওঠেনা। আমি চ্যালেঞ্জ করছি কখনো কোনদিন কোনভাবে যদি মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি প্রমাণ করতে পারে তাহলে আর জীবনে আমি রাজনীতি এবং জনপ্রতিনিধিত্ব করবোনা জনগণ যা শাস্তি দিবেন তা স্বেচ্ছায় মাথা পেতে নিবো।