সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
লকডাউনে শিথিল করে রাত ৮টার মধ্যে দোকান বন্ধ করার সরকারী নির্দেশনা থাকলেও রাত ৯টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে খোলা থাকছে দোকান ও মার্কেট সহ বিপনী বিতানগুলো।
তবে এ বিষয়ে প্রশাসন থেকে হুশিয়ারী আর সর্তক করলেও কঠোর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় বার বারই মার্কেট খোলা রেখে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলেছে দোকানদাররা।
বুধবার (৫ মে) রাত ৯টায় শহরের সমবায় মার্কেট, মার্ক টাওয়ার বিপনী বিতান, হক প্লাজা, সায়েম প্লাজা, পপুলার ভবন সহ আশেপাশের সব কিছুই খোলা দেখা যায়। আর এসবও ছিল ক্রেতাদের ভীড়।
করোনা সংক্রামন রোধে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি মানার নূন্যতম পদক্ষেপ তার উপর সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে গভীর রাত পর্যন্ত মার্কেট খোলা রেখে বেচাকেনা করছেন দোকানদাররা।
তাছাড়া স্বাস্থ্যবিধির সবশেষ আশ্রয়স্থল মাস্ক ব্যবহার করার জন্য বলছে সেটাও নেই অনেক ক্রেতার মুখে। বিক্রেতারা মাস্ক থাকলে সেটা মুখের পরিবর্তে পকেটে রাখেন। আর সন্ধ্যার পর থেকে ক্রেতার সংখ্যাও দ্বিগুন হারে বেড়ে চলেছে।
মার্কেট খোলা রাখার বিষয়ে দোকানদার কিংবা মার্কেটের পরিচালনা কমিটির কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। বরং গণমাধ্যমের কর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন।
এদিকে রাত সাড়ে ৯টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজ ফেসবুক একাউন্ট থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম ছবি ও ভিডিও আপলোড করে লিখেন, ‘নারায়ণগঞ্জে রাত সাড়ে ৮টার দৃশ্য।
যদিও সরকারি নির্দেশনা রাত আটটার মধ্যে দোকান বন্ধ হওয়ার কথা ছিল? প্রশাসন নীরব?
এর আধা ঘণ্টা পর রাত ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের ফেসবুক থেকে জানানো হয়, ‘জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাইন বিল্লাহর নির্দেশনা মোতাবেক রাত ৮টার পরেও সমবায় মার্কেট, মার্ক টাওয়ার, ফ্রেন্ডস মার্কেট, ডিআইটি মার্কেট সহ অন্যান্য মার্কেট খোলা থাকায় অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মার্কেটগুলো বন্ধ করা হয়।’
এসময় মার্কেট পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারিকে আগামীকাল থেকে রাত ৮টার মধ্যে মার্কেট বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম বলেন, ‘এটা দুঃখজনক। সরকারিভাবে নির্দেশনা সন্ধ্যা ৮টার পর মার্কেট বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু গত সাত দিন ধরে দেখছি এ নিয়মটা কোন ভাবে পালন করা হচ্ছে না এবং কোথাও কোন প্রশাসনিক তৎপরতা দেখি না।
গতকাল রাত ১১টায় গণমাধ্যমের কাজ শেষ করে বের হয়ে দেখি সব মার্কেট খোলা। আমি একটা ছবি দিয়েছি যেখানে পুলিশের গাড়িও আছে কিন্তু কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে,‘নারায়ণগঞ্জ করোনার হটস্পট ছিল। এখনও আক্রান্ত হচ্ছে। সেখানে যদি প্রশাসন তৎপর না হয় এবং মার্কেট যদি বন্ধের ব্যবস্থা না করে তাহলে এটা দুঃখজনক ঘটনা। এতে নারায়ণগঞ্জবাসীর ক্ষতি হবে।
এজন্যই আমরা মনে করি এক্ষেত্রে প্রশাসনের দৃঢ় ভাবে তৎপর হওয়া উচিত। এটা জনগনের দায়িত্ব না এটা প্রশাসনের দায়িত্ব।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় একই ঘটনা বার বার ঘটছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কিংবা প্রশাসনের কোন ব্যবস্থা চোখে পরছে না।
যেকারণে নারায়ণগঞ্জে এ অবস্থা। এতে সংক্রামণ বৃদ্ধি পেতে পারে। আমরা আশঙ্কা করছি ঈদের পর একটা জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।’