সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের করোনায় অনন্য ভূমিকা রাখা মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত নাসিক ১৩ নং কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও তার স্ত্রী লুনার ফেসবুক লাইভের বিরুদ্ধে অভিযোগের জবাব দিয়ে একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন সায়েদা শিউলি।
তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে জানিয়েছেন, খোরশেদ ও তার স্ত্রী লাইভে যে সকল অভিযোগ করেছেন সায়েদা শিউলি খোরশেদকে ফেসবুকের সম্পর্কের প্রেক্ষিতে বিয়ে করতে চাইছেন। এ লাইভ ভিডিও বার্তায় এ দিকে সায়েদা শিউলি ফেসবুকে তার বিরুদ্ধে খোরশেদ দম্পত্তির করা সব অভিযোগের জবাবও দেননি।
ঐ ভুক্তভোগী নারী তার নিজ পরিচয় এবং ব্যবসায়ীক কর্মকান্ডের কথা জানিয়ে কাউন্সিলর খোরশেদের করা অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা,বানোয়াট ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন ।
তিনি জানিয়েছেন কাউন্সিলর খোরশেদ বিয়ে করেছেন এক হাজার ভাগ সত্য,তার প্রমানও তিনি দিবেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ঐ নারী। তবে কাকে বিয়ে করেছেন স্পষ্ট জানাননি তিনি। লাইভে ওই ভুক্তভোগী নারী আরও অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলর খোরশেদ ও তার স্ত্রী ষড়যন্ত্র করে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার মিথ্যা অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
তারা এতদিন কোন ধরনের কথা না বলে, যখন তিনি ব্যবসায়িক কাজে দেশের বাহিরে অবস্থান করছিলেন,ঠিক তখনই তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুুুলেছেন তারা।
তিনি আরও জানান,তিনি ৩ সন্তানের জননী স্বামী হারা অসহায় তিনি কি করে বিবাহিত এক প্রভাবশালী কাউন্সিলরের বাড়িতে কাজী নিয়ে যাবেন,এ অভিযোগও তিনি মিথ্যা বানোয়াট বলে উড়িয়ে দেন। এটা কাউন্সিলর খোরশেদ ও তার স্ত্রীর একটি সাজানো নাটক বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ঐ নারী জানান এর আগে কাউন্সিলর খোরশেদ ও তার স্ত্রী বহুবার পুলিশ, র্যাব দিয়েও তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।তাই এখন তারা আবার নতুন অপকৌশলে লিপ্ত হয়েছেন।
তাদের সকল কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, দেশে এসে প্রমানসহ এর উপযুক্ত জবাব দিবেন।তিনি পুলিশ, সাংবাদিক ভাই ও দেশের সকল সুশীল সমাজের সকলেট কাছে এ ব্যপারে সহযোগিতাসহ তার এবং তার পরিবারের সকলের জন্য নিরাপত্তার অনুরোধ জানান।
প্রশংগত,এর গত কয়েক দিন আগে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিল খোরশেদ তার নিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ওই নারীর বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন।
খোরশেদ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতিও ছিলেন তিনি।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) তার নিজ ফেসবুক লাইভে এসে ওই অজ্ঞাত নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তিনি বলেন ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত করায় তাকে ওই নারী হয়রানি করছেন । তবে ওই নারীর নাম প্রকাশ করবেন বলেও রহস্যহজনক ভাবে প্রকাশ করেননি। এ সময় লাইভে কাউন্সিলর খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনাকেও উপস্থিত দেখা গেছে।
কাউন্সিলর খোরশেদ নিজের ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, গত বছর মহামারী করোনা রোগীদের সেবার জন্য বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। ওই বছরের জুলাইতে অক্সিজেন সেবার বিষয়ে প্রকাশিত একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের নিউজ লিংকে কমেন্ট করেন ওই অজ্ঞাত নারী।
সেখানে তিনি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে সহযোগিতা করতে চান বলে জানান বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলর খোরশেদ ।
এরপর থেকেই তাদের মধ্যে যোগাযোগ শুরু হয় কাউন্সিলর খোরশেদের।
তারপর ম্যাসেঞ্জার,ইমো,হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদিতে যোগাযোগ শুরু। তাদের ফেসবুকে যোগাযোগের কয়েকদিন পরই তার সাথে ওই নারী সম্পর্ক গড়তে চান বলে অভিযোগ খোরশেদের।
এতে খোরশেদ অসম্মতি জানালে, ওই নারী তাকে বিয়ে করতে চান। তাতেও অসম্মতি জানালে তাকে নানানভাবে হয়রানি করার অভিযোগ করছেন নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করা ওই নারী বিরুদ্ধে ।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, ‘আমি অনেক হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমি ওই নারীর নাম ও পরিচয়ও প্রকাশ করবো বলে রহস্যজনকভাবে তা প্রকাশ করেননি এ কাউন্সিলর।
এদিকে এ ঘটনার পরপরই রহস্য আরো ঘনিভুত হতে শুরু করছে।জনমনে বিভিন্নধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।কে এই নারী,এতদিন যাবত কেনই বা ঐ নারীর সাথে কাউন্সিলর খোরশেদের সম্পর্ক।
এখন কেনই বা ঐ নারী কাউন্সিলর খোরশেদকে নিজ স্ত্রী থাকা সত্তেও বিয়ে করতে চাচ্ছে ওই।তাদের মধ্যে এমনকি সম্পর্ক ছিল?
কেনই বা তিন সন্তানের জননী এই কাউন্সিলর খোরশেদকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন।প্রশ্ন এখন সবার মনে ।
তিনি তার নিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে আরও বলেছেন ওই নারীর সাথে তিনি বিছানায় শোননি তবে কেন তাকে বিয়ে করতে হবে? এমনটি বলেছিলেন তিনি। তাহলে তিনি তার সাথে শুলে তাকে বিয়ে করতেন? এখন এ ঘটনাই নারায়ণগঞ্জের “হট অব দ্যা নারায়ণগঞ্জ” শহরের সকলের মুখে মুখে।