সকাল নারায়ণগঞ্জ:
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চ ডুবে ৩৫ জন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত কার্গো জাহাজটিকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে ১৪ জন স্টাফসহ এসকেএল-৩ নামের কোস্টার কার্গোটিকে আটক করা হয়। তবে তার আগেই পরিবর্তন করা হয়েছিল কার্গোটির রঙ।
সাবিত-আল-হাসান লঞ্চ ডুবি ঘটনার তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম কোস্টগার্ডের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ১৪ জন স্টাফ সহ কার্গোটি আটক করা হয়েছে। ঘটনার পরে তারা কার্গোটির রঙ পরিবর্তন করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় শীতলক্ষ্যা নদীতে বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী জাহাজ চালিয়ে সাবিত আল হাসান নামে মুন্সিগঞ্জগামী একটি লঞ্চ ডুবিয়ে ৩৪ জন যাত্রীকে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপপরিচালক (নৌ নিট্রা) বাবু লাল বৈদ্য।
মামলায় হত্যার উদ্দেশ্যে বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী জাহাজ চালিয়ে লঞ্চটি ডুবিয়ে ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে মামলায় আসামি হিসেবে কারোও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
মামলার বাদী বাবু লাল বৈদ্য জানান, পেনাল কোড ২৮০, ৩০৪, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭, ৪৩৭ ধারাসহ ইনল্যান্ড শিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ এর ৭০ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যে এবং বেপরোয়া গতিতে নৌযান চালিয়ে ৩৫ জনকে হত্যা সংঘটিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।
মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে হত্যার উদ্দেশ্যে বেপরোয়া গতিতে জাহাজ চালিয়ে হত্যা সংঘটিত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আশা করছি খুব শিগগিরই দোষীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সৈয়দপুর-মদনগঞ্জের নির্মাণাধীন শীতলক্ষ্যা সেতুর নিচে কয়লাঘাট এলাকায় এসকেএল-৩ নামের একটি কোস্টার ট্যাংকারের ধাক্কায় সাবিত আল হাসান নামের নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জগামী লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়।