সকাল নারায়ণগঞ্জ:
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সংস্কৃতিজন, বাংলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র এটিএম শামসুজ্জামান এর মৃত্যুতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে এক শোকসভা ২৩ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৫টায় চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ান বাজারস্থ সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয় চৈতালি ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি বিশিষ্ট আইনজীবী প্রফেসর কামরুন নাহার বেগম এর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স ম জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোক সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা শাখার সহ সভাপতি মো জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সৈয়দা সাহেদা সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর, প্রচার সম্পাদক সাজেদা বেগম সাজু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো হাসান মুরাদ, সদস্য লাভলী বেগম, ওসমান খান, আবেদ খান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মো মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, সহ সভাপতি এস এম আবুল ফজল, মো কামাল হোসেন, কুমার শালু বড়ুয়া। শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলোয়াত ও বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন জেলা শাখার সহ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
সভায় বক্তারা বলেন, এটিএম শামসুজ্জামান ছিলেন একজন স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিমান অভিনেতা, পরিচালক ও লেখক। তিনি ছিলেন একাধারে বাংলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র । তিনি আজীবন অভিনয়ের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে তুলে ধরতেন শৈল্পিক নৈপুণ্যে। অভিনয়ের জন্য আজীবন সম্মাননাসহ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ছয় বার। এছাড়াও ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আয়োজনে তিনি আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকেও ভূষিত হন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক কামরুন নাহার বলেন, এটিএম শামসুজ্জামানের মতো কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। এটিএম শামসুজ্জামান অভিনয় ও লেখালেখির মাধ্যমে আজীবন বাংলা ও বাংলার স্বাধীনতার পক্ষে লড়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি কখনো আপোষ করেনি। তিনি মরেও অমর হয়ে থাকবেন তাঁর কর্মের মাধ্যমে।
মৃত্যু অমােঘ জেনেও এ সংক্ষিপ্ত জীবনে তিনি মানবকল্যাণে যে কীর্তি রেখে গেছেন তাতে মৃত্যুর পরও তিনি বাংলার মানুষের হৃদয়ে চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন। এটিএম শামসুজ্জামান নিঃসন্দেহে একজন কীর্তিমান ও আলোকিত পুরুষ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে বাংলার সংস্কৃতি ও অভিনয় শিল্পের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে এটিএম শামসুজ্জামান ছিলেন সৎ ও ধার্মিক, তিনি ১১ বার হজ্জব্রত পালন করেছেন।