1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
১১ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে চুরি যাওয়া ১৯ মাসের শিশু উদ্ধার - সকাল নারায়ণগঞ্জ
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন জুলাই অপরাধীদের তালিকা না দেয়াও অপরাধ বন্দর উপজেলা বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলকে নিয়ে অবমাননাকর আচরণের তীব্র নিন্দা অসুস্থ বিএনপি নেতা লাভলুর পাশে জমিয়তের মুফতি মনির কাসেমী ধর্ষণ-নিপীড়ন বন্ধে ব্যর্থ অর্ন্তবর্তী সরকারও জুলাই অপরাধী-দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ ও বিচার করুন  জাতীয় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রোডমার্চ নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোড ও মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসবে এসপির অংশগ্রহণ  মুসলিম ভূখন্ডে ইসরাইলী হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বিক্ষোভ মিছিল। পুরো প্রজন্ম ধ্বংস করতে একজন মাদকাসক্তই যথেষ্ট: মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান 

১১ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে চুরি যাওয়া ১৯ মাসের শিশু উদ্ধার

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ২৪৬ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)

গত ২৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮ টায় কুমিল্লার তিতাস থানা পুলিশ সংবাদ পায় যে তিতাসের উলুকান্দি গ্রামের এক বাড়ি হতে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সিদ কেটে দুটি মোবাইল ও ১৯ মাস বয়সের এক শিশুকে চুরি করে নিয়ে গেছে। 


খবর নিয়ে জানা যায়, জান্নাত আক্তার (২৫) তাঁর ১৯ মাস বয়সের শিশু কন্যা রাইসাকে নিয়ে তিতাসের উলুকান্দি গ্রামে বসবাস করতেন। তাঁর স্বামী মোঃ হালিম দীর্ঘ দিন ধরেই প্রবাসে আছেন। 


ঘটনার আগের রাতে প্রতিদিনের মতোই কন্যা রাইসাকে নিয়ে জান্নাত আক্তার নিজ ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত ৪.৩০ টার দিকে তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরের শৌচাগারে যান।


কিছুক্ষণ পর ঘরে ফিরে এসে তিনি দেখতে পান যে বিছানায় তাঁর সন্তান নেই। এমনকি ঘরের কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমন সময় তিনি দেখতে পান যে ঘরের এক কোনায় সিদ কাটা। 


জান্নাত আক্তার তৎক্ষনাৎ বুঝে যান যে তাঁর আদরের সন্তানেকে কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে। সন্তানের সম্ভাব্য বিপদের আশংকায় তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন।


কিছুক্ষণের মধ্যেই অপরাধীরা চুরি করে নিয়ে যাওয়া শিশুকে ফিরিয়ে দেয়ার জ্ন্য মোটা অংকের টাকা দাবি করে। তারপর থেকে তারা কিছুক্ষণ পর পরই ভিকটিম শিশুর মা ও চাচার কাছে টাকা চেয়ে ফোন দিতে থাকে। 


উক্ত ঘটনার সংবাদ পাবার পর চুরি যাওয়া শিশুটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করতে দ্রুত কাজে নেমে পড়ে তিতাস থানা পুলিশ। সে সাথে সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসারের নেতৃত্বে যোগ দেয় কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি বিশেষায়িত দল।


অভিযানে নেমে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পুরো বিষয়টি নেগোশিয়েশন করছিল সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই শিশুটিকে উদ্ধার করা।


তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপরাধিদের গতিবিধি ও অবস্থান নির্ণয় করার পাশাপাশি বিভিন্ন পুলিশি কৌশল অবলম্বন করে চলতে থাকে উদ্ধার অভিযান। অবশেষে সন্ধ্যা পৌনে ৭ টায় তিতাস থানাধীন বলরামপুরের এক চর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করাসহ একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় দলটি। 


কিন্তু ততক্ষণে তীব্র শীতে শিশুটির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়ে। তাই তাকে দ্রুত তিতাস উপজেলা স্বাস্হ্য কম্প্লেক্সে নিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। কিছুক্ষণ পর শিশুটির শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে তাকে তার মায়ের কোলে তুলে দেয়া হয়।


উক্ত ঘটনায় তিতাস থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত আসামিকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL