সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
র্যাব-৪ এর অভিযানে রাজধানীর মিরপুর ও ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকা হতে ভুয়া চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠানের ১১ প্রতারককে গ্রেফতার ও ১৫ জন ভুক্তভোগী উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে, রাজধানীসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কিছু ভুইফোড় কোম্পানি সাধারণ জনগণের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল রোববার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টা হতে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নিম্নোক্ত দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে ১৫ জন ভুক্তভোগীসহ সর্বমোট ১১ জন প্রতারক’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
(ক) মিরপুর মডেল থানাধীন “আনন্দ সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড” নামক অফিসে অভিযান পরিচালনা করে নিম্নোক্ত ০৯ জন প্রতারক গ্রেফতারসহ ১০০ টি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফরম, ২০০ টি ভর্তি ফরম, ১২০ টি ভুয়া নিয়োগপত্র, ১৭৫ টি জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ০৪ টি ডিজিটাল সিল, ১৫ টি নিবন্ধিত বই এবং ৪৫০ টি ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শামিমা বেগম (২৬), জেলাঃ নরসিংদী, রেশমা খাতুন (২০), জেলাঃ রাজবাড়ী, আকলিমা আক্তার আখি (১৮), জেলাঃ ভোলা, মোঃ রায়হান হোসেন (১৯), জেলাঃ লক্ষিপুর, তুষার রহমান (২৩), জেলাঃ ভোলা, মোঃ শ্রাবন হোসেন (১৮), জেলাঃ রাজশাহী, মোঃ সাকিব ইসলাম (১৮), জেলাঃ দিনাজপুর, মোঃ জাকির হোসেন (২২), জেলাঃ জামালপুর ও মোঃ সোহেল মিয়া (২২), জেলাঃ বি. বাড়ীয়া।
(খ) ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকা হতে “ক্যাপটর সিকিউরিটি (প্রাঃ) লিমিটেড” নামক অফিসে অভিযান পরিচালনা করে নিম্নোক্ত ০২ জন প্রতারক গ্রেফতারসহ ২০০ টি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফরম, ২০ টি ভুয়া নিয়োগপত্র, ১০০ টি জীবন বৃত্তান্ত ফরম, ০৪ টি ডিজিটাল সিল, ২টি রেজিস্টার খাতা এবং ২টি চাকুরীতে যোগদানের অঙ্গীকারপত্র ফরমের বই উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ লিটন শিকদার (৩৬), জেলা-মাগুড়া ও মোঃ ওসমান গনি (৩৩), জেলা-ঢাকা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, উক্ত চক্রটি রাজধানীসহ ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অফিস ভাড়া করে ভিন্ন ভিন্ন নামে বেনামে ভূঁইফোড় প্রতিষ্ঠান খুলে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে মধ্যশিক্ষিত বেকার ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল যুবক/যুবতীদের আকর্ষণীয় ও উচ্চ বেতনের চাকুরীর প্রলোভনের মাধ্যমে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ভুক্তভোগী জনসাধারণের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো।
এছাড়াও তারা ট্রেনিং এর নামে টাকা নিয়ে এবং চাকুরীপ্রার্থী অন্য সদস্য সংগ্রহ করে দিলে কমিশন দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিলো।
উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতারক সদস্যদের গ্রেফতার করার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
অদূর ভবিষ্যতেও এরুপ অসাধু নব্য প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।