সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
আমি আলহাজ্ব মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, পিতা-মরহুম আব্দুর রহিম, সাং ৫৬ নং এস,এম মালেহ রোড, আল-জয়নাল প্লাজা, নারায়ণগঞ্জ, আমি নারায়ণগঞ্জের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমি বাংলাদেশ সরকারকে বাৎসরিক ৩০-৩৫ লক্ষ টাকা আয়কর প্রদান করি। আমার ভোগ দখলীয় খানপুর ‘ম’ খন্ড মৌজার আর,এস ৮১৭ নং দাগের ৩০.১৬ শতাংশ, আর,এস ৮১৬ নং দাগের ৯.২৫ শতাংশ এবং আর,এস ৮১৯ নং দাগের ১০.৫০ শতাংশ সম্পত্তি একুনে মোট প্রায় ৫০.০০ শতাংশ সম্পত্তিতে ভবন নির্মানের জন্য কনসট্রাকশনের কাজ করিতেছি।
এমতাবস্থায় নি¤œ বর্ণিত পরবিত্ত লোভী অপরের সম্পত্তি আর্থিক লাভের আশায় ছলে বলে কৌশলে আত্মস্বাতকারী ব্যক্তি আমার ভোগ দখলীয় সম্পত্তি আত্মস্বাত করিয়া কুক্ষিগত করার মানসে একটার পর একটা সম্পূর্ন মিথ্যা ও কাল্পনিক ষড়যন্ত্র মূলক ঘটনা সাজাইয়া আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় দায়ের করিয়া বিভিন্ন ভাবে অযথা হয়রানীসহ খরচান্ত করিয়া আসিতেছে বিবাদী ১) নাজমা বেগম (৪৫), স্বামী-ওমর ফারুক সাং ২৬৯/৩ বিবি রোড চাষাড়া, নারায়ণগঞ্জ। বিগত ২৮/০৯/২০২০ ইং তারিখে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মিথ্যা চাঁদাবজির মামলা রুজু করে। উক্ত দূধর্ষ ছলনাময়ী নাজমা বেগম আবারও ঐ একই মিথ্যা কাহিনী উল্লেখ করিয়া ঐ একই থানায় অভিযোগ দায়ের করে। যাহাতে দেখা যায় বিগত ২৮/০৯/২০২০ ইং তারিখের এজাহারের বর্ণনা এবং ০৪/০১/২০২১ ইং তারিখের অভিযোগের বর্ণনা একই। বিষয়টি মনোযোগ সহকারে পাঠ করিয়া সুবিবেচনায় নিলে সহজেই অনুমেয় হবে যে, বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও সাজানো।
উল্লেখ্য যে, বিগত ১৬/১১/২০২০ ইং তারিখে পুলিশ সুপার মহোদয়ের বরাবরে উক্ত দূর্ধর্ষ মহিলা নাজমা বেগমের বিরুদ্ধে এক আবেদন করি। যাহার প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার মহোদয় উক্ত আবেদনে নোট দিয়ে এ,এস পি, এ সার্কেল মহোদয়কে বিষয়টি দেখার জন্য হাওলা করেন। এ,এস পি, এ সার্কেল মহোদয় বিষটি গুরুত্বের সহিত গ্রহন করে ঐদিনই উভয় পক্ষের বরাবরে ৫০০০ নং স্মারকে ১৬/১১/২০২০ ইং তারিখে এক নোটিশ প্রেরণ করেন। যাহাতে মহোদয় পরবর্তী ১৯/১১/২০২০ ইং তারিখ দুপুর ২.০০ ঘটিকার সময় মহোদয়ের দপ্তরে উপস্থিত হয়ে নিজ নিজ বক্তব্য প্রদানের অনুরোধ করেন।
আমি যথা সময়ে এ,এস পি,- এ সার্কেল ফতুল্লা দপ্তরে উপস্থিত হলেও উক্ত দর্ধর্ষ নাজমা বেগম উপস্থিত না হওয়ায় এ,এস পি মহোদয় আমাকে বিকাল ৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত অপেক্ষায় রেখে উক্ত নাজমা বেগমকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার সহায়তায় নাজমা বেগমকে উপস্থিত করান। কিন্ত উক্ত নাজমা বেগম তাহার কোন আইনজীবী সাথে না নেওয়ায় পরবর্তী তারিখ দেওয়া হয় । পরবর্তী তারিখে আমি আমার প্রতিনিধি আইনজীবী সহ উপস্থিত হলেও নাজমা বেগম উপস্থিত না হওয়ায় আবারও তারিখ দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী তারিখেও নাজমা বেগম উপস্থিত না হওয়ায় আবারও বিগত ১২/০১/২০২১ ইং তারিখে তারিখ নির্ধারণ করে আমাকে জানানো হলে আমি আমার আইনজীবীসহ উপস্থিত হয়ে প্রায় দুই ঘন্টা অপেক্ষার পরও নাজমা বেগম উপস্থিত না হওয়ায় পরবর্তী তারিখ পরে জানাবেন বলে আমাকে বলা হলে আমি উক্ত দপ্তর হইতে ফিরে আসি।
পরবর্তীতে জানিতে পারি অদ্য ১৩/০১/২০২১ ইং তারিখে বুধবার উক্ত দূর্ধর্ষ নাজমা বেগম তাহার বোবা স্বামী সহ কিছু প্রতিবন্ধিদেরকে ভুল বুঝাইয়া জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দপ্তর প্রাঙ্গনে মানব বন্ধন সাজাইয়া আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট ও মিথ্যা সাজানো বক্তব্য দেওয়ায়।
উক্ত দূর্ধর্ষ ছলনাময়ী নাজমা বেগম তাহার স্বামী বোবা হওয়ার সুযোগ নিয়া প্রসাশনের সহানুভূতি আদায় করে বার বার মামলা করার বিষয়টি মহোদয় বিবেচনায় নিলে বুঝতে সহজ হবে যে, নাজমা বেগমের কোন সম্পত্তি আমি দখল বা আত্মস্বাত করার চেষ্টা করিনাই । বরং নাজমা বেগম ও তাহার স্বামী বোবা এবং নিজে মহিলা হওয়ার সুযোগ নিয়া সকলের সহানুভূতিতে আবেগ পূর্ন অনুভূতিতে আঘাত করে আমার বিরুদ্ধে পুলিশকে ভূল বুঝাইয়া ক্ষেপিয়ে তুলে তাহার অন্যায় ফয়দা হাসিলের চেষ্টা করিয়া আসিতেছে।
আমি যাহাতে আমার সম্পত্তিতে নির্মান কাজ করিতে না পারি সে কারণে থানায় গিয়া নানাহ প্রকার মিথ্যা ও বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ এর মাধ্যমে আমাকে পুলিশী হয়রানী করার সর্বত্মক প্রচেষ্ঠাসহ কুট কৌশল অবলম্বলন করিয়া আমার কাছ থেকে আর্থিক ফয়দা লুটার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রহিয়াছে।
এখানে বিশেষ ভাবে আরো উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত মিথ্যা ঘটনার অভিযোগকারী আমার মালিকানাধীন সম্পত্তি জোর পূর্বক আনুমানিক প্রায় ৩.৫০ শতাংশ সম্পত্তি হইতে আমাকে বেদখল করার চেষ্টায় লিপ্ত রহিয়াছে। এই সম্পত্তি আর,এস রেকর্ডিয় মালিক উক্ত নাজমা বেগমের শ^শুর সামসুজ্জোহা খান, চাচা শ^শুর সেলিম খান, অপর চাচা শ^শুর অলিউল্লাহ খান, তাহার ফুফু শ^াশুরী মনোয়ারা বেগম, শান্তি বেগম, হোসনেয়ারা বেগম ও শাহিদা বেগম প্রত্যেকে আর,এস রেকর্ডিয় মালিক। আমি উক্ত নাজমা বেগমের শ^শুরের প্রাপ্ত আর,এস ৮১৬ নং দাগের বাড়ী ভুমি ২.৬৪ শতাংশ সম্পত্তি বাদে অন্য সকল আর,এস মালিকগনের নিকট হইতে আর,এস ৮১৯ নং দাগের ডোবা ভূমি খরিদ করিয়া ভোগ দখলে নিয়ত হইয়া বহু অর্থ ব্যয় করিয়া প্রায় ৫০-৬০ ফুট গভীর ডোবা বালুদ্বারা ভরাট করিয়া তথায় নির্মান কাজ করিতেছি । বর্তমানে উক্ত ডোবা ভূমি আমি ভরাট করায় ঈর্ষান্বিত ও লোভের বশবর্তী হইয়া কুট কৌশলে আমার সম্পত্তি আত্মস্বাতের ও অন্যায় ভাবে আমার নিকট হইতে টাকা আদায় করার জন্য কিছু হলুদ সাংবাদিকের সহায়তায় আমাকে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমায় ফাঁসাইয়া ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রহিয়াছে। উক্ত নাজমা বেগম তার স্বামী ওমর ফারুক নোবেল বোবা তাহার পিতার ওয়ারিশ হিসাবে ২.৬৪ শতাংশ সম্পত্তিতে মালিক হইয়া ভোগ দখলে আছে। আমি বোবার কোন সম্পত্তি দখল করিতে যাই নাই কিংবা আদৌ কোনরূপ ভাংচুর বা মারধর করি নাই।
উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ ৪র্থ আদালতে দেওয়ানী ৫০/১৮ এবং দেঃ ১৫/১৬ নং মোকদ্দমা বিচারাধীন থাকাবস্থায় উক্ত নাজমা বেগম ফৌজদারী মামলা দায়ের করিয়া আমাকে পুলিশী হয়রানী করিতেছে এবং আমার ৫০ শতাংশ জমির উপর আমার নির্মান কাজ বাধা গ্রস্থ করিয়া আমার আর্থিক ক্ষতি সাধন করিতেছে। উল্লেখ্য যে, উক্ত দেওয়ানী মামলায় কোন রূপ নিষেধাজ্ঞার আদেশ না থাকা স্বত্তে¡ও শুধু মাত্র আমাকে হয়রানী করার অসৎ উদ্দেশ্যে উক্ত নাজমা বেগম বিভিন্ন সময়ে আমিসহ আমার কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ফৌজদারী মোকদ্দমা দায়ের করিয়া আমার বহু আর্থিক ক্ষতি সাধন করিতেছে।
এই আমার বক্তব্য আমি আপনাদের বরাবরে উপস্থাপন করিলাম, বিষয়টি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিবেচনায় নিয়া আপনাদের পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশনের অনুুরোধ করিতেছি।
বিনীত নিবেদক
আলহাজ্ব মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন,